(বাঁ দিকে) সহারা গোষ্ঠীর প্রয়াত কর্ণধার সুব্রত রায় এূবং শিল্পপতি গৌতম আদানি (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ৮৮টি সম্পত্তি শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থাকে বিক্রি করে দিতে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি চেয়েছিল সহারা গোষ্ঠী। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাজার নিয়ামক সংস্থা সেবির মতামত জানতে চাইল শীর্ষ আদালত।
প্রয়াত বাঙালি শিল্পপতি সুব্রত রায় প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ‘সহারা ইন্ডিয়া কমার্শিয়াল কর্পোরেশন’ (এসআইসিসিএল)-এর স্থাবর সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইয়ের অদূরের অ্যাম্বি ভ্যালি এবং উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের উপকণ্ঠের সহারা নগর। আদানি গোষ্ঠীকে ওই সব বহুমূল্য সম্পত্তি বিক্রি করে লগ্নিকারীদের বকেয়া টাকা মেটানোর প্রস্তাব শীর্ষ আদালতকে দিয়েছিলেন সহারা কর্তৃপক্ষ। প্রধান বিচারপতি বিআর গবই, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এমএম সুন্দরেশের বেঞ্চ মঙ্গলবার থেকে সেই আবেদনের অন্তর্বর্তিকালীন শুনানি শুরু করেছে।
এই মামলার আবেদনে এসআইসিসিএল-র আইনজীবী গৌতম অবস্থি শীর্ষ আদালতে জানিয়েছিলেন, তাঁদের সংস্থার মোট ২৪ হাজার কোটি টাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির থেকে এখনও পর্যন্ত ১৬ হাজার কোটি টাকা উদ্ধার করা গিয়েছে এবং গোটা টাকাটাই সেবির হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আরও ৮৮টি সম্পত্তি আদানি গোষ্ঠীকে বিক্রি করে লগ্নিকারীদের বকেয়া মিটিয়ে দিতে চান তাঁরা। মামলায় কেন্দ্রের প্রতিনিধি, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রের মতামত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সে দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। পাশাপাশি, এই মামলার ‘আদালত বান্ধব’ (অ্যামিকাস কিউরে) তথা আইনজীবী শেখর নাফাদেকে ওই ৮৮টি সম্পত্তির বিষদ তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছে শীর্ষ আদালত।