National News

দিল্লিতেও কঙ্কাল কাণ্ড, বিজ্ঞানীর পচা, গলা দেহ উদ্ধার

এ বার দিল্লিতে তাঁর কোয়ার্টার থেকে এক অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীর পচা, গলা দেহ উদ্ধার করা হল। সেই দেহ এতটাই পচেছে যে তা পোকা হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ২০:১৩
Share:

যে ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিজ্ঞানী সুদের পচা, গলা দেহ।

অনেকটা যেন কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটের সেই ঘটনা।

Advertisement

এ বার দিল্লিতে তাঁর কোয়ার্টার থেকে এক অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানীর পচা, গলা দেহ উদ্ধার করা হল। সেই দেহ এতটাই পচেছে যে তা পোকা হয়ে গিয়েছে। প্রায় সপ্তাহখানেক ধরে দুর্গন্ধে টিঁকতে না পেরে শেষমেশ পুলিশকে জানিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ সেই কোয়ার্টারের ঘরে ঢুকে একটি ভাঙা খাটের ওপর পড়ে থাকা ওই বিজ্ঞানীর পচা, গলা দেহ উদ্ধার করেছে বৃহস্পতিবার। ওই কোয়ার্টারে বিজ্ঞানীর সঙ্গে থাকতেন তাঁর এক ভাই ও বোন। পুলিশ তাঁদের একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে।

পশ্চিম দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিজয় কুমার জানাচ্ছেন, ওই বিজ্ঞানীর নাম যশবীর সুদ। তিনি দিল্লির পুসায় ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ছিলেন প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট। অবসর নিয়েছিলেন ২০১৫-য়। ৬৪ বছর বয়সী ওই বিজ্ঞানী বিয়ে করেননি। থাকতেন তাঁর কাছাকাছি বয়সের এক ভাই আর এক বোনের সঙ্গে। তাঁরা সম্ভবত মানসিক ভারসাম্যহীন। দুই ভাই, বোনেরই বয়স ষাটের ঘরে। ২০১৫-র মার্চে অবসর নেওয়ার পর বিজ্ঞানী সুদকে সরকারি কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে বলা হয়েছিল। তার পর তাঁর ওই ভাই আর বোনকে নিয়েই ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট চত্বরের একটি প্রায় পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে থাকতেন ওই বিজ্ঞানী।

Advertisement

আরও পড়ুন- এ বার অরুন্ধতী, শোভা, সাগরিকাদেরও খুনের হুমকি

আরও পড়ুন- সূর্য থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে গোলা ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে

পুলিশের বক্তব্য, প্রায় চার দিন ধরে ঘরে পড়ে রয়েছিল বিজ্ঞানী সুদের দেহটি। সম্ভবত তাঁর ভাই ও বোনও সে কথা জানতেন না। তবে ওই বাড়িতে ঢোকার সময় পুলিশকে বাধা দিয়েছিলেন বিজ্ঞানী সুদের ভাই ও বোন।

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, প্রায় সপ্তাহখানেক ধরেই তাঁরা ওই কোয়ার্টার থেকে দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁরা ভেবেছিলেন, গত কয়েক দিন ধরে তুমুল বৃষ্টি হওয়ায় ওই দুর্গন্ধ আসছে ড্রেনের জল রাস্তায় উপচে পড়ায়। পরে সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশকে খবর দেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, সম্ভবত অপুষ্টির জন্যই মৃত্যু হয়েছে বিজ্ঞানী সুদের। তাঁর সঙ্গে থাকতেন যে ভাই ও বোন, তাঁদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থাও খুব ভাল নয়। তাঁরাও ভুগছেন অপুষ্টিতে। গত এক দশক ধরেই তাঁরা থাকতেন ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কোয়ার্টারে। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা বাইরের কারও সঙ্গেই মেলামেশা করতেন না। নিজেদের নিয়েই থাকতেন। অবসরের পর গত আড়াই বছরে তাঁর প্রাপ্য পেনশন ও গ্র্যাচুইটির টাকা কিছুই তোলেননি।

পুলিশ বিজ্ঞানী সুদের ভাই ও বোনকে চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হিউম্যান বিহেভিয়্যার অ্যান্ড সায়েন্সেসে ভর্তি করিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন