Tripura Incident

রাতে ডিজে বক্স বন্ধ করতে বলায় ওসি-কে মার: ত্রিপুরার ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

মাইক বন্ধ করতে বলায় পুলিশের উপরই চড়াও হন স্থানীয়েরা। শেষ পর্যন্ত ওসির নির্দেশে অনুষ্ঠানের ডিজে বক্স খুলে নেন পুলিশকর্মীরা। তাতেই রেগে যান উপস্থিত স্থানীয়েরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৪০
Share:

বৃহস্পতিবার রাতে ক্লাবের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার থানার ওসি। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

বাজি পোড়ানো, বক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠান করার অনুমতি ছিল রাত ১০টা পর্যন্ত। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও জোরে ডিজে বক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠান চলছিল স্থানীয় ক্লাবে। সেই অনুষ্ঠানে সাউন্ড বক্স বন্ধ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন স্থানীয় থানার ওসি শিবুরঞ্জন দে। ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার বেলোনিয়া থানা এলাকায়। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে বেলোনিয়া থানা এলাকার ওরিয়েন্টাল ক্লাবে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, রাত ১০টার পরেও অনুষ্ঠান চলছিল। তারস্বরে বাজছিল মাইক এবং ডিজে বক্স। সেই খবর বেলোনিয়া থানায় পৌঁছোতেই ওসি পুলিশের একটি দলকে পাঠান ঘটনাস্থলে। কিন্তু পুলিশের আপত্তি মানেননি ক্লাবের সদস্যেরা। বন্ধ করেননি মাইক। তার পরে রাত ১১টা নাগাদ ওসি নিজে পুলিশের একটি দল নিয়ে ওই ক্লাবে পৌঁছোন। তখনও মাইক বন্ধের কোনও লক্ষণ দেখাননি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

মাইক বন্ধ করতে বলায় পুলিশের উপরই চড়াও হন স্থানীয়েরা। শেষ পর্যন্ত ওসির নির্দেশে অনুষ্ঠানের ডিজে বক্স খুলে নেন পুলিশকর্মীরা। তাতেই রেগে যান উপস্থিত স্থানীয়েরা। শুরু হয় বাক্‌বিতণ্ডা। অভিযোগ, কয়েক জন ওসি-কেই হেনস্থা করেন। এমনকি, মারধরও করা হয়। সেই ঘটনার পরই পরিস্থিতি থমথমে হয়ে ওঠে এলাকায়।

Advertisement

শুক্রবার সকাল থেকেই ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে বেলোনিয়া থানার পুলিশ। সকলেই স্থানীয় এবং ক্লাবের সদস্য। ধৃতেরা হলেন ওই ক্লাবের সম্পাদক অলক বণিক, পুজো কমিটির সম্পাদক বিজয় বিশ্বাস, সভাপতি শ্রীবাস সেন। এ ছাড়াও ক্লাব সদস্য সুব্রত দেবনাথ, লিটন দেবনাথ, আদিত্য দত্ত, লিটন হাজারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া ছিলেন তাঁরা। বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে তাঁদের ধরে বেলোনিয়া থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ঘটনার সময় ধৃত সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। মারধরের ঘটনায় আর কেউ যুক্ত ছিলেন কি না, তারও খোঁজ করছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement