মেয়ে বলে গুরুত্বই দেননি বাবা: সাক্ষী

বরেলীর বিজেপি বিধায়কের মেয়ে সাক্ষী মিশ্র গত কয়েক দিন ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন। দলিত ছেলেকে বিয়ে করায় বাবা ওঁদের মেরে ফেলতে পারেন বলে  আশঙ্কা করছেন ওঁরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ০১:৫৬
Share:

সাক্ষী। ফাইল চিত্র।

শুধু ভিন জাতে বিয়ে করেই সাক্ষী মিশ্র বাবার বিরাগভাজন হননি। পিতৃগৃহে তিনি ছোট থেকেই লিঙ্গবৈষম্যের শিকার, একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষী নিজেই জানিয়েছেন সে কথা।

Advertisement

বরেলীর বিজেপি বিধায়কের মেয়ে সাক্ষী মিশ্র গত কয়েক দিন ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন। দলিত ছেলেকে বিয়ে করায় বাবা ওঁদের মেরে ফেলতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন ওঁরা। সোমবার ইলাহাবাদ হাইকোর্ট চত্বরে সাক্ষীর স্বামীর উপরে হামলাও হয়েছে। আদালত এখন ওঁদের পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

টিভিতে সাক্ষী বলেছেন, তথাকথিত নিম্নবর্ণের ছেলেকে বিয়ে করা থেকেই যে সব সমস্যার শুরু, তা নয়। কন্যাসন্তান হিসেবে সমানাধিকার তিনি কোনও দিনই বাপের বাড়িতে পাননি। সাক্ষীর কথায়, ‘‘আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। আমি আরও পড়াশোনা করতে চেয়েছিলাম।’’ কিন্তু পছন্দের বিষয় বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা তাঁর ছিল না। জোর করে তাঁকে এমন একটি কলেজে মাস কমিউনিকেশন পড়তে পাঠানো হয়, যেখানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ। মাস কমিউনিকেশন পড়েও যে তিনি পছন্দ মতো চাকরি করবেন, অনুমতি মেলেনি তারও। সাক্ষী জানাচ্ছেন, বাড়ির বাইরে চাকরি করায় আপত্তি দেখে তিনি এমনকি এও বলেছিলেন, তাঁকে বিধায়ক বাবার অফিসে কাজ করতে দেওয়া হোক! সারাদিন কত লোকজন আসেন, তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনার সুযোগ দেওয়া হোক! সাক্ষীর ভাই ভিকি সে কাজগুলো করেন। কিন্তু সাক্ষীকে সে অধিকার দেওয়া হয়নি। সাক্ষীর আক্ষেপ, বাবা তাঁকে কখনও গুরুত্বই দেননি। ভাই যা কিছু স্বাধীনতা পেয়েছে, তিনি তার কিছুই পাননি শুধু মেয়ে বলেই। সাক্ষী চেষ্টা করেছিলেন বাবাকে বোঝাতে। বলেছিলেন, ‘‘শুধু মেয়েদের দ্বারাই পরিবারের অসম্মান হয় না, ছেলেদের থেকেও হয়!’‌’

Advertisement

কিন্তু মেয়ের কথা যে বাবা শোনেননি, সেটা সাক্ষীর বিয়েকে কেন্দ্র করে জটিলতাতেই স্পষ্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন