শুক্রবার মাদ্রাসা খোলা রাখার সরকারি নির্দেশ আসার পরও আজ বেশ কিছু মাদ্রাসা বন্ধ ছিল। করিমগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে থাকা হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এলেও একজন ছাত্রও আসেনি। অনুরূপ ভাবে কানিশাইল মাদ্রাসার গেটও বন্ধ ছিল। তবে বটরশি এমই মাদ্রাসা আজ যথারীতি খোলা ছিল। ২১৩ জন ছাত্রের মধ্যে ৮-১০ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল। মাদ্রাসার প্রায় সকল শিক্ষকই উপস্থিত ছিলেন।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষা বিভাগের তরফ থেকে গত কালই নির্দেশ পাওয়ার পর আজ তাঁরা বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তবে ছাত্রছাত্রীরা খুব একটা উপস্থিত ছিল না বলে অনেক শিক্ষক ক্লাস নেননি। তিনি বলেন, শুক্রবার বিদ্যালয় খোলা রাখার ফলে তাঁদের তেমন কোনও অসুবিধে হয়নি। অন্যান্য স্কুলের সঙ্গে মাদ্রাসাগুলিও রবিবার বন্ধ থাকবে। তাতে সমস্যার কিছুই নেই। প্রথম প্রথম ছাত্রছাত্রীদের কিছু অসুবিধে হলেও দিনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে বলেই তিনি মনে করেন।
করিমগঞ্জ হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘সরকারি বিদ্যালয়ে সরকারের নির্দেশ মান্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। শুক্রবার জুম্মাবার। তাই কিছুটা অসুবিধে হলেও তেমন
কঠিন কোনও সমস্যা হবে না।’’ তবে ছাত্রদের না আসা নিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে বলেই বোধহয় তারা আসেনি। শুক্রবার মাদ্রাসা খোলা রাখার কোনও আদেশ গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকরা পাননি বলে জানিয়ে করিমগঞ্জের গ্রামাঞ্চলের প্রায় সব মাদ্রাসাই আজ বন্ধ রাখা হয়েছে।