এই সেই উড়ালপুল, যেটিকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ৯০ ডিগ্রি রেলসেতুর নির্মাণ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এ বার মহারাষ্ট্রের নাগপুরের একটি সেতু ভোপালের সেই ঘটনার স্মৃতি উস্কে দিল। সেতুর একটি ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নির্মাণকাজের ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ভারতের জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের একটি প্রকল্পের আওতায় পড়ছে নির্মীয়মাণ এই উড়ালপুল। উড়ালপুলের একটি বাঁক এমন ভাবে নেওয়া হয়েছে যে, সেতুর কিছু অংশ পাশে থাকা একটি তিনতলা বাড়ির ব্যালকনির উপর দিয়ে গিয়েছে। ফলে নির্মাণকাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেতুর কিছু অংশ যে ভাবে বাড়িটির ‘ঘাড়ে’ উঠে পড়েছে, ছবি প্রকাশ্যে আসার পর অনেকেই স্তম্ভিত হয়েছেন।
ভোপালের ৯০ ডিগ্রি বাঁকের সেই সেতু। ছবি: সংগৃহীত।
জানা গিয়েছে, উড়ালপুলটি নাগপুরের অশোকনগর এলাকায় তৈরি হয়েছে। উড়ালপুলটি ইন্দোরা-দিঘোরি করিডরের একটি অংশ। উড়ালপুলের নির্মাণের ধরন নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে চারদিকে, সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, বাড়িটির ব্যালকনি যে অংশে পড়ছে, সেটি বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। যে জায়গা দিয়ে উড়ালপুল গিয়েছে, সেই জায়গাটি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আওতাধীন। ফলে উড়ালপুলের নির্মাণকাজে কোনও গাফিলতি নেই। নাগপুর পুরসভাকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, জবরদখল করে ব্যালকনি ওই অংশ বানানো হয়েছে।
নাগপুরের এই উড়ালপুলের নির্মাণকাজ স্মৃতি উস্কে গিয়েছে মাস চারেক আগের মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি রেলসেতু। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয় সেই রেলসেতুটি। মহামই কা বাগ এবং পুষ্পনগরের মধ্যে যোগাযোগ মসৃণ করতে নিউ ভোপালের স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এই রেলসেতুটি তৈরি করা হয়। সেতু নির্মাণের পর সেটির একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেতুটির ৯০ ডিগ্রির বাঁক দেশবাসীকে স্তম্ভিত করেছিল।