—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দিল্লি বিস্ফোরণের পরের দিনই অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গির জামিনের মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় মামলাকারীর জামিন খারিজ করে দিয়ে দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, সকলকে বার্তা দেওয়ার জন্য এটাই সেরা দিন!
বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে সৈয়দ মামুর আলি জামিনের আবেদন করেন। কোভিডের সময় এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসে সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। গত জানুয়ারিতে মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট তাঁর জামিন খারিজ করে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামুর।
মঙ্গলবার মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী প্রথমেই জানান, গতকালের (দিল্লি বিস্ফোরণ) ঘটনার পর এই মামলায় সওয়াল করার সঠিক দিন নয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এটাই সেরা দিন।’’ আদালত জানায়, আবেদনকারীর কাছ থেকে কিছু নিষিদ্ধ জিনিস উদ্ধার হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে ইসলাম সংক্রান্ত কিছু বই পাওয়া গিয়েছিল মাত্র। যদিও সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ আদালত। বিচারপতি নাথ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত হোয়াট্সঅ্যাপে গ্রুপ তৈরি করেছিলেন। সেই গ্রুপে যে ছবি ব্যবহার করা হয়, তা আইএসের পতাকার সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে।’’
মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলের কাছ থেকে আরডিএক্স বা কোনও ধরনের বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। তাঁর মক্কেল শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তাঁর বিরুদ্ধে নাশকতা-যোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তার পরেও তাঁকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। সওয়াল-জবাব শেষে আদালত জানায়, এই মুহূর্তে মামলাকারীর জামিন মঞ্জুর করা সম্ভব নয়। তবে আদালত এ-ও জানিয়েছে, দুই বছরের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। যদি তা না-হয়, তবে অভিযুক্ত জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।