সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিআর গবই। —ফাইল চিত্র।
দেশের প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের দিকে ‘জুতো’ ছোড়ার চেষ্টায় অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে পদক্ষেপে সায় নেই সুপ্রিম কোর্টের। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অবমাননার নোটিস জারি করলে ওই আইনজীবীকে অযথা গুরুত্ব দেওয়া হয়ে যাবে। একই সঙ্গে এর ফলে ঘটনাটি আরও বেশি দিন জিইয়ে রাখা হবে, যার পক্ষপাতী নয় আদালত।
তিন সপ্তাহ আগে, গত ৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দিকে ‘জুতো’ ছোড়ার চেষ্টা করেন রাকেশ কিশোর নামে ৭১ বছর বয়সি এক আইনজীবী। ওই সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন। ওই দিন প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই বলেছেন, প্রধান বিচারপতির দিকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন ওই আইনজীবী। আবার কেউ বলেছেন, একটি কাগজের বান্ডিল ছুড়ে মারার চেষ্টা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি গবই এই ঘটনা প্রসঙ্গে আগেই জানিয়েছেন, তাঁরা বিষয়টি মাথা থেকে মুছে দিয়েছেন। যদিও বিচারপতি উজ্জ্বল ভূয়ানের মতে, ওই ঘটনার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করা উচিত ছিল। পরবর্তী সময়ে অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে পদক্ষেপের আর্জিতে শীর্ষ আদালতে মামলা করে সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার মামলাটির শুনানি ছিল বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে।
দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এজলাসে স্লোগান দেওয়া এবং জুতো ছোড়ার চেষ্টার মতো ঘটনা নিঃসন্দেহে আদালত অবমাননার মামলার সামিল। কিন্তু এমন কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি না, তা বিচারপতির সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। সুপ্রিম কোর্ট মনে করছে ওই ঘটনাটি আর জিইয়ে রাখা ঠিক হবে না। তা ছাড়া আদালত অবমাননার নোটিস জারি করলে ওই আইনজীবীকে অযথা গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও মনে করছে আদালত।
তবে আদালতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে একটি ‘গাইডলাইন’ স্থির করা যায় কি না, তা বিবেচনা করে দেখবে আদালত। দেশের অন্যত আদালতগুলির মধ্যে কোথায় কোথায় এমন জুতো ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে।