Digital Arrest

‘ডিজিটাল গ্রেফতার’: কোথায় কত এফআইআর? সব রাজ্যের কাছে তথ্য চাইল সুপ্রিম কোর্ট, ভাবনা সিবিআই তদন্তেরও

হরিয়ানার অম্বালার বাসিন্দা এক প্রৌঢ়াকে আদালতের ভুয়ো নির্দেশনামা দেখিয়ে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করেছিল প্রতারকেরা। তাঁর থেকে এক কোটি ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সাইবার প্রতারকেরা। ওই ঘটনা নজরে আসতেই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:০৪
Share:

‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ সংক্রান্ত সব মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার ভাবনা সুপ্রিম কোর্টের। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

দেশব্যাপী যে ভাবে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর মাধ্যমে সাইবার প্রতারণা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট। ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ সংক্রান্ত সব মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার কথাও ভাবছে শীর্ষ আদালত। কোথায় কত ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর ঘটনা ঘটেছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তলব করেছে আদালত। প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সোমবার নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোন রাজ্যে কতগুলি এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে, সেই তথ্য সুপ্রিম কোর্টে জমা দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

হরিয়ানার অম্বালার বাসিন্দা এক প্রৌঢ়াকে আদালতের ভুয়ো নির্দেশনামা দেখিয়ে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করেছিলেন প্রতারকেরা। তাঁর থেকে এক কোটি ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন সাইবার প্রতারকেরা। ওই ঘটনা নজরে আসতেই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে মামলাটির শুনানি ছিল। সেখানে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’-এর বিষয়ে কোন রাজ্যে কত এফআইআর হয়েছে, সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে সেই তথ্য চেয়েছে আদালত।

সোমবারের শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি জানান, ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ এবং সাইবার প্রতারণার অন্য ঘটনাগুলির বেশির ভাগই বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। বিশেষ করে মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডের কথা উল্লেখ করেন তিনি। এই ধরনের প্রতারণার মামলাগুলির কী ভাবে তদন্ত করা যায়, সে বিষয়ে সিবিআইকে এই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আদালতে জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, “সিবিআইয়ের তদন্ত কেমন এগোচ্ছে, সে দিকে আমরা নজর রাখব। প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেব।”

Advertisement

এই ধরনের প্রতারণার তদন্তে সিবিআইয়ের আরও লোকবলের প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা-ও জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার বাইরের কোনও সাইবার বিশেষজ্ঞকে এই ধরনের তদন্তে কাজে লাগানো যায় কি না, তা-ও সিবিআইকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement