Supreme Court

‘যেখানে ইচ্ছা প্রতিকার চান’! ভোটার তালিকা নিয়ে রাহুলের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা শুনল না সুপ্রিম কোর্ট

রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় কারচুপি হয়েছিল। গত ৭ অগস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়টি জানিয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল। সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন রোহিত পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৪৮
Share:

ভোটার তালিকায় কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।

ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত চেয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘যেখানে ইচ্ছা প্রতিকার চান। এখানে জনস্বার্থ মামলা শোনা হবে না।’’ আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও জানিয়েছে বেঞ্চ।

Advertisement

রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় কারচুপি হয়েছিল। গত ৭ অগস্ট সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়টি জানিয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল। সেই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন রোহিত পাণ্ডে নামে এক ব্যক্তি। তিনি আবেদন করে জানান, এই অভিযোগ নিয়ে স্বাধীন ভাবে অনুসন্ধান করেছেন তিনি। তাতেই কারচুপির বিষয়টি উঠে এসেছে। সোমবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ আবেদনকারীকে এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে বলে। আবেদনকারী জানান, তিনি ইতিমধ্যে কমিশনে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি আবেদনকারীর।

যদিও দুই বিচারপতির বেঞ্চ এই আবেদন শুনতে চায়নি। জানিয়েছে, আবেদনকারী পারলে কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন। মামলাকারী আবেদন করেন, এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সময় বেঁধে দিক সুপ্রিম কোর্ট। বেঞ্চ তাতেও রাজি হয়নি। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমরা আবেদনকারীর কথা শুনেছি। জনস্বার্থ মামলার আকারে দায়ের হওয়া এই মামলা আমরা শুনতে ইচ্ছুক নই। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন।’’

Advertisement

মামলাকারী নিজের আবেদনে রাহুলের সাংবাদিক বৈঠকের উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, রাহুল ৭ অগস্ট জানিয়েছিলেন, ভোটার তালিকায় ‘অপরাধমূলক জালিয়াতি’ হয়েছে। কর্নাটকের ওই লোকসভা কেন্দ্রে ‘ভোট চুরি’-র অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। আবেদনকারী জানান, সংবিধানেই অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। ‘প্রশাসনিক পদক্ষেপে’-র কারণে সংবিধানের এই প্রাথমিক নীতি লঙ্ঘিত হতে পারে না। রাহুলের এই অভিযোগ শুনে তাঁকে এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রামাণ্য নথি দিতে বলেন মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ১৭ অগস্ট দেশের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার পরের সাত দিনের মধ্যে রাহুলকে হলফনামা জমা করতে বলেন। মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে জমা করা নিজের আবেদনে জানান, ভোটপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য কমিশনকে নির্দেশিকা দেওয়া হোক। সুপ্রিম কোর্ট যদিও সেই আবেদন শুনতে রাজি হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement