—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ছত্তীসগঢ় সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বস্তার ডিভিশনে আবার আত্মসমর্পণ মাওবাদীদের। এ বার সুকমা জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সাত জন মহিলা-সহ নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র মোট ২৭ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। এঁদের মধ্যে মাওবাদীদের সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র ১৬ জনের মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা।
সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চহ্বাণ জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা সরকারি নীতি মেনে পুনবার্সন সংক্রান্ত সুবিধা পাবেন। তিনি বলেন, ‘‘অন্তঃসারশূন্য মতার্দশের প্রতি ওঁদের মোহভঙ্গ হয়েছে। ছত্তীসগঢ় সরকারের ‘নিয়াদ নেল্লানার’ (তোমার ভালো গ্রাম) প্রকল্পে উন্নয়ন দেখে ওঁরা আকৃষ্ট হয়েছেন। তাই অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি। মাওবাদী নেতা-কর্মীদের মূল স্রোতে ফেরাতে গত বছর ছত্তীসগঢ় পুলিশ ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচিও শুরু করেছিল।
৬০ জন সহযোদ্ধাকে নিয়ে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের উপস্থিতিতে গড়ছিরৌলিতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভাই মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে সোনু। মাওবাদী সংগঠনে ‘তাত্ত্বিক মস্তিষ্ক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই বুধবার বলেন, ‘‘বেণুগোপালের আত্মসমর্পণ মাওবাদীদের শেষের শুরু।’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতকে ‘মাওবাদী মুক্ত’ করার অঙ্গীকার করেছেন। শাহের সেই প্রতিশ্রুতি পালিত হবে বলেও দাবি করেন বিষ্ণুদেও। তিনি বলেন, ‘‘মাওবাদীমুক্ত বস্তারের প্রত্যন্ত জনজাতি গ্রামগুলিতে আমরা উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেব।’’