Taliban Minister in India

সাত দিনের ভারত সফরে এসে উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুমে তালিবান বিদেশমন্ত্রী, কেন?

গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেই মুসলিমদের কাছে এই দারুল উলুম প্রভাবশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানেই শনিবার দিল্লি থেকে সড়কপথে গিয়েছিলেন মুত্তাকি। তাঁকে স্বাগত জানান দারুল উলুমের উপাচার্য আবুল কাসিম নোমানি-সহ কয়েক জন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৩৬
Share:

শনিবার দারুল উলুম দেওবন্দের অতিথিশালা থেকে বেরিয়ে আসছেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি (বাঁ দিকে)। ছবি: পিটিআই।

সাত দিনের ভারত সফরে এসেছেন আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। শনিবার তিনি গেলেন উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুম দেওবন্দে। সেখানে সাক্ষাৎ করলেন উপাচার্যের সঙ্গে। ভারত সফরে এসে কেন মুসলিমদের ওই শিক্ষাক্ষেত্রে গেলেন তালিবান মন্ত্রী? সূত্রের খবর, দারুল উলুম দেওবন্দের সঙ্গে বিশেষ এক যোগসূত্র রয়েছে তালিবানের।

Advertisement

গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেই মুসলিমদের কাছে এই দারুল উলুম প্রভাবশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানেই শনিবার দিল্লি থেকে সড়কপথে গিয়েছিলেন মুত্তাকি। তাঁকে স্বাগত জানান দারুল উলুমের উপাচার্য আবুল কাসিম নোমানি-সহ কয়েক জন। তাঁর উপরে পুষ্পবৃষ্টিও করা হয়। এতে খুশি হয়েছেন বলে জানান মুত্তাকি। তিনি জানান, কাবুল থেকে তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভবিষ্যতেও আসবেন। দুইয়ের মধ্যে সংযোগ তৈরি হবে।

তালিবানের কাছে এই দারুল উলুম গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, আদর্শগত দিক থেকে। তালিবানের অনেক শীর্ষ কমান্ডার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার দারুল উলুম হাক্কানিয়ায় পড়াশোনা করেছেন। দেওবন্দের আদর্শেই গড়ে তোলা হয়েছিল সেই প্রতিষ্ঠান। হাক্কানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মৌলানা আবদুল হক। তিনি নিজেই দেওবন্দের দারুল উলুমে পড়াশোনা করেছিলেন। সেখানে পড়িয়েও ছিলেন। সে সময় দেশভাগ হয়নি। সেই আবদুলের পুত্র সামি-উল-হক ‘তালিবানের জনক’ বলে পরিচিত। মনে করা হচ্ছে, সে কারণেই ভারত সফরে এসে দেওবন্দের দারুল উলুমে ঘুরে গেলেন মুত্তাকি।

Advertisement

শনিবার দেওবন্দে মুত্তাকির সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচুর পড়ুয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়েছিলেন। তবে মুত্তাকি পর্যন্ত পৌঁছোনোর আগেই নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের আটকে দেন। এই অভ্যর্থনা দেখে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মুত্তাকি বলেন, “এই ব্যাপক অভ্যর্থনা এবং এখানকার মানুষের ভালবাসা পেয়ে আমি ধন্য। আমি আশা করি ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।” ১২ অগস্ট আগরার তাজমহল দেখতে যাওয়ার কথা মুত্তাকির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement