মোহিত মোর। ছবি: ফেসবুক থকে সংগৃহীত।
এ বার ভর সন্ধেয় গুলি চলল দিল্লির নজফগড়ে। তাতে খুন হলেন সোশ্যাল মিডিয়া তারকা মোহিত মোর। ভিডিয়ো শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকে অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। সেখানে পাঁচ লক্ষের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে তাঁর। প্রায় তিন হাজার অনুরাগী রয়েছে ইনস্টাগ্রামে। তাঁদের জন্য নানা ধরনের ভিডিয়ো পোস্ট করতেন মোহিত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নজফগড়ের একটি জিমে যাতায়াত ছিল মোহিত মোরের। মঙ্গলবার বিকাল সওয়া ৫টা নাগাদ এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে স্থানীয় একটি ফোটোকপির দোকানে ঢোকেন তিনি। সেখানে সোফায় বসে গল্প করছিলেন তিনি। সেই সময় দোকানে ঢুকে তাঁর উপর হামলা চালায় তিন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। মোহিতকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা। যার মধ্যে পাঁচটি গুলি মোহিতের শরীরে লাগে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে মোহিত সোফার উপর লুটিয়ে পড়তেই, কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। স্থানীয় লোকজন মিলে তড়িঘড়ি মোহিতকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এই ধরনের ভিডিয়ো শেয়ার করতেন মোহিত মোর।
আরও পড়ুন: এনডিএকে রুখতে ফোনে নবীন, কেসিআর, জগন রেড্ডির সঙ্গে কথা পওয়ারের
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে তিন দুষ্কৃতীর দেখা মিলেছে, যাদের মধ্যে দু’জন হেলমেট পরে থাকলেও, একজনের মাথা খালি ছিল। ওই ফোটোকপির দোকান থেকে ছুটে বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে তাদের। খালি মাথায় থাকা ওই দুষ্কৃতীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তার নাগাল পেলেই বাকি দু’জনের হদিশ মিলবে বলে আশাবাদী পুলিশ।
অন্য দিকে, যে স্কুটারে চেপে দুষ্কৃতীরা সেখানে পৌঁছেছিল, সেটিরও দেখা মিলেছে সিসিটিভি ফুটেজে। স্কুটারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে।
আদতে হরিয়ানার বাহাদুরগড়ের বাসিন্দা হলেও, নজফগড়েও মোহিতের একটি বাড়ি ছিল। বেশিরভাগ সময় সেখানেই থাকতেন তিনি। তার বাবা বেঁচে নেই। বাড়িতে শুধু মা এবং ছোট ভাই রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে, মোহিতের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কিনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মহাকাশে অত্যাধুনিক ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহ পাঠাল ভারত, স্পষ্ট দেখা যাবে চিন-পাকিস্তানের গতিবিধি
এর আগে, রবিবার দিল্লির দ্বারকা মেট্রো স্টেশনের কাছে দুই দুষ্কৃতী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। গুলিবিনিময় চলাকালীন তাতে দু’জনের মৃত্যু হয়। তবে এরকম কোনও গোষ্ঠীর সঙ্গে মোহিতের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন দ্বারকার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অ্যান্টো আলফনসো। বরং ব্যক্তিগত শত্রুতা বা টাকা পয়সা সংক্রান্ত ঝামেলার জেরেই মোহিতকে খুন করা হয়েছে বলে সন্দেহ তাঁর।