Advertisement
E-Paper

এনডিএকে রুখতে ফোনে নবীন, কেসিআর, জগন রেড্ডির সঙ্গে কথা পওয়ারের

মুম্বই থেকে তাঁর ফোন গেল ভুবনেশ্বরে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বিজু জনতা দলের (বিজেডি) নেতা নবীন পট্টনায়কের কাছে। ফোনে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে কথা বললেন পওয়ার। প্রবীণ এনসিপি নেতার ফোন পৌঁছল ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন্মোহন রেড্ডির কাছেও।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ১২:৩০
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

‘দোসর’ পেলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তেলুগু দেশম নেতা এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। যে ভাবে হোক বিজেপির নেতৃত্বে আরও একটি এনডিএ সরকার রুখতে এ বার আসরে নেমে পড়লেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) নেতা শরদ পওয়ারও

মুম্বই থেকে তাঁর ফোন গেল ভুবনেশ্বরে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বিজু জনতা দলের (বিজেডি) নেতা নবীন পট্টনায়কের কাছে। ফোনে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে কথা বললেন পওয়ার। প্রবীণ এনসিপি নেতার ফোন পৌঁছল ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগন্মোহন রেড্ডির কাছেও। ফোনে চন্দ্রবাবুর সঙ্গেও প্রায় নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন পওয়ার।

আগামী কাল থেকেই বেরতে শুরু করবে লোকসভা ভোটের ফলাফল। পওয়ার, চন্দ্রবাবুর লক্ষ্য, এগজিট পোলগুলি ভুল প্রমাণিত হলে যেন এনডিএ-র বাইরে থাকা অ-কংগ্রেসি দলগুলিকেও পাশে না পেয়ে যায় বিজেপি। বিভিন্ন রাজ্যে ওই দলগুলির সমর্থন জোগাড় করে ফেলে যেন কোনও ভাবে বিজেপি না সরকার গড়ে ফেলতে পারে কেন্দ্রে। শেষ দফার ভোটের দিন থেকেই সেই কাজটা শুরু করে দিয়েছেন চন্দ্রবাবু। নিজের রাজ্য ছেড়ে তাঁকে ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটকে। এরই মধ্যে দিল্লিতে সনিয়া গাঁধী ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর সঙ্গে আলাদা ভাবে বৈঠকে বসেছেন তিনি। লখনউয়ে ছুটে গিয়ে চন্দ্রবাবু দেখা করেছেন বহুজন সমাজ পার্টির (বসপা) নেত্রী মায়াবতী ও সমাজবাদী পার্টি (সপা) নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতাতেও ছুটে এসেছেন চন্দ্রবাবু।

আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মায়া, মমতা বা চন্দ্রবাবুকেই পছন্দ, রাহুলের নামই করলেন না শরদ​

আরও পড়ুন- অভিমানই হাতিয়ার ‘পরবাসী’ বাবুর​

বিরোধী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে তার পরেও কিছু ফাঁক থেকে যাচ্ছিল। যা ভরাট করতে এ বার আসরে নেমে পড়লেন বর্ষীয়ান পওয়ার। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর সরকার গড়ার প্রয়োজনে বিরোধীদের একজোট করতে যে তিন রাজনৈতিক নেতার কাছে এখনও পর্যন্ত পওয়ারের ফোন পৌঁছেছে বলে তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, চন্দ্রবাবুর দুই কট্টর প্রতিপক্ষ তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বা ‘কেসিআর’ এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের জগন রেড্ডি।

ফলাফল ঘোষণার পর যদি দেখা যায় কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ-র একটি স্থায়ী সরকার গড়ার ক্ষমতা রয়েছে, মুম্বইয়ের রাজনৈতিক মহলের খবর, সে ক্ষেত্রে ইউপিএকে সমর্থনের ব্যাপারে নবীন এবং কেসিআর দু’জনেই আশ্বস্ত করেছেন পওয়ারকে। নবীনকে ফোন করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা কমল নাথও। দুন স্কুলে পড়াশোনার সুবাদে দু’জনেই দু’জনকে চেনেন বহু দিন ধরে। তাঁদের সখ্যতার কথাও সর্বজনবিদিত।

তবে বিজেডি সূত্রের খবর, নবীন তাঁর রাজ্যের প্রয়োজনটাকেই গুরুত্ব দিতে চাইছেন সবচেয়ে বেশি। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে বিধ্বস্ত ওড়িশার ত্রাণ ও পুনর্বাসনে ইউপিএ বা এনডিএ যার কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি সহায়তার আশ্বাস পাবেন, নবীনের সমর্থন তার দিকেই ঝুঁকবে বলে বিজেডি সূত্রের খবর।

কেসিআর এবং নবীনের সঙ্গে ফোনে কথা হলেও পওয়ারের ফোন চন্দ্রবাবুর কট্টর প্রতিপক্ষ জগন রেড্ডি ‘ধরতে পারেননি’ বলেই তাঁর দল সূত্রের খবর। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘জগন্মোহন রেড্ডি এখন বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করছেন’’। প্রয়োজন হলে জগনের সমর্থন লাগতে পারে ভেবে বিজেপি আগেই ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নেতার সঙ্গে যোগাযোগে করেছে। কথা বলেছে। তাই এনসিপির একটি সূত্রের ধারণা, ‘‘পওয়ারের ফোন আপাতত এড়িয়েও যেতে পারেন জগন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy