বিমান পরিষেবায় বিপর্যয়ের মূল কারণ খুঁজে বার করতে এবং তা বিশ্লেষণের জন্য পৃথক তদন্তের সিদ্ধান্ত নিল ইন্ডিগো-ও। উড়ান সংস্থার দাবি, তারা একটি নিরপেক্ষ অনুসন্ধান চালাতে চায়। এর জন্য একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দায়িত্ব দিচ্ছে তারা। এক বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানিয়েছে, উড়ান পরিষেবা সংক্রান্ত এক স্বাধীন বিশেষজ্ঞদল যত দ্রুত সম্ভব এই পর্যালোচনা শুরু করবে। অনুসন্ধানের পরে তারা ইন্ডিগোর বোর্ডকে একটি বিস্তারিত রিপোর্টও জমা দেবে।
ইন্ডিগো বিভ্রাটের এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। পরিষেবায় বিভ্রাটের জেরে বিমানযাত্রীদের ভোগান্তি এখনও অব্যাহত। উড়ান বাতিল হওয়ার সংখ্যা আগের থেকে অনেক কমলেও যাত্রীভোগান্তি কমেনি। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবার ফের দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র দফতরে তলব করা হয় ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে।
শুক্রবারও ডিজিসিএ গঠিত চার সদস্যের কমিটির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে পিটারকে। দেশের অন্যতম প্রধান উড়ান সংস্থার পরিষেবায় বিভ্রাটের মূল কারণ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব রয়েছে এই কমিটির উপরেই। ঠিক একই দিনে পৃথক ভাবে কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করল ইন্ডিগো।
আরও পড়ুন:
-
বিমান ভাড়া সারা বছর বেঁধে দিতে পারে না সরকার, উৎসবের মরসুমে বাড়বেই: সংসদে বিমানমন্ত্রী নায়ডু
-
চার কর্তাকে বরখাস্ত করল ডিজিসিএ! শুক্রবারও তদন্ত কমিটির সামনে হাজিরা দিতে হতে পারে ইন্ডিগোর সিইও-কে
-
উড়ান বিপর্যয়: শুক্রবার ফের ডিজিসিএ-র দফতরে যাবেন ইন্ডিগোর সিইও! অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্তদের ১০,০০০ টাকার উপহার কুপন দেবে সংস্থা
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা বিভ্রাটের জেরে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে ইন্ডিগোর পরিষেবা নিয়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিবৃতি দিয়ে ইন্ডিগো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সমস্ত যাত্রীকে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে তারা। যাঁরা এখনও টাকা পাননি, দু’তিন দিনের মধ্যেই তাঁদের টাকা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, গত ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা যাঁরা উড়ান বাতিল হওয়ার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০,০০০ টাকার ‘ভাউচার’ (উপহার কুপন)-ও দেবে ইন্ডিগো।
এই বিতর্কের মাঝেই সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু ইন্ডিগোর সিইও-র সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পর নায়ডু জানান, শুধু ইন্ডিগো নয়, ডিজিসিএ-কেও তদন্তের আওতায় আনা হবে। গত কয়েক দিনে কী ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে ডিজিসিএ, তা খতিয়ে দেখা হবে। বস্তুত, ইন্ডিগোর ভূমিকায় যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই প্রশ্ন উঠেছে ডিজিসিএ-র নজরদারি নিয়েও। এরই মধ্যে শুক্রবার চার ইনস্পেক্টর (ফ্লাইট অপারেশন্স ইনস্পেক্টর বা এফওআই)-কে বরখাস্ত করেছে ডিজিসিএ। জানা যাচ্ছে, ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবার তদারকির দায়িত্বে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তাঁরা।