গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডিগোর একের পর এক উড়ান বাতিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও বাতিল হয়েছে একাধিক উড়ান। সেই আবহে ব্যাখ্যা চেয়ে বুধবারই ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্সকে তলব করেছিল ভারতের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। সেই মতো বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিজিসিএর দফতরে হাজিরা দিলেন পিটার। তবে আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকায় শুক্রবার তাঁকে ফের হাজিরা দিতে হবে ডিজিসিএ-র দফতরে।
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুরে সংস্থার সিইও পিটার ডিজিসিএর দফতরে ঢুকেছেন। দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ ডিজিসিএর দফতরের সামনে কালো রঙের গাড়ি থেকে নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সঙ্গে ছিল নথিপত্রও। উল্লেখ্য, ইন্ডিগোর অগুন্তি উড়ান বাতিলের জেরে দেশের বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রীদের কতটা ভোগান্তি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে পিটারের কাছে গত কয়েক দিনের নথি চেয়েছিল ডিজিসিএ। মনে করা হচ্ছে, সে সব নিয়েই বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার দফতরে ঢুকেছেন তিনি। তবে অন্দরে কী ঘটেছে, সে সংক্রান্ত তথ্য এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি।
আরও পড়ুন:
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিবৃতি দিয়ে ইন্ডিগো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে সমস্ত যাত্রীকে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে তারা। যাঁরা এখনও টাকা পাননি, দু’তিন দিনের মধ্যেই তাঁদের টাকা সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, গত ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা যাঁরা উড়ান বাতিল হওয়ার কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ১০,০০০ টাকার ‘ভাউচার’ (উপহার কুপন)-ও দেবে ইন্ডিগো। আগামী এক বছরের মধ্যে যে কোনও সময় ভ্রমণের জন্য ওই ‘ভাউচার’ ব্যবহার করা যাবে। সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, গত তিন দিন ধরে আবহাওয়ার প্রতিকূলতা কিংবা প্রযুক্তিগত কারণ ছাড়া ইন্ডিগোর কোনও উড়ান শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়নি। বরং আগের থেকে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রায় ৩,০০,০০০ যাত্রীকে নিয়ে ১,৯৫০টিরও বেশি উড়ান পরিচালনা করেছে ইন্ডিগো। যদিও সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারও বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার অন্তত ৬০টি উড়ান বাতিল হয়েছে।