Human Trafficking

মানুষ পাচার রোধে বঙ্গে ৬টি কেন্দ্র

আগামী দিনে ওই কেন্দ্র খোলা হবে অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

অতিমারির আবহে সীমান্ত দিয়ে বাড়ছে মানুষ পাচার। পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে মানবপাচার রুখতে, ধৃতদের পুনর্বাসনের প্রশ্নে রাজ্য ও বিএসএফের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে পাইলট পর্বে ছ’টি অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট খুলল কেন্দ্র। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী যে ক’টি জেলা রয়েছে, তার প্রত্যেকটিতে আগামী দিনে ওই কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে বিএসএফের। আগামী দিনে ওই কেন্দ্র খোলা হবে অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যে।

Advertisement

বিএসএফের এক কর্তার কথায়, ‘‘লকডাউনের শুরুর সময়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পথে অনেকে ধরা পড়েন। যাঁদের সকলেই বাংলাদেশের মানুষ। ভারতে লকডাউনে কাজ হারানোয় তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছিলেন। মাঝে এপ্রিল মাসে লকডাউনের সময়ে সংখ্যাটি শূন্যে চলে আসে। কিন্তু লকডাউন উঠতেই কাজের খোঁজে বিপরীতমুখী স্রোত শুরু হয়।’’ বিএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে অগস্ট পর্যন্ত ভারতে প্রবেশের সময়ে ৫২৭ জন এবং বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার সময়ে ধরা পড়েন ২,৪১৩ জন। দু’দেশের সীমান্তে ধৃতদের বড় অংশ ধরা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সংখ্যাটি প্রায় ২,৪২৯ জনের কাছাকাছি। বাকিরা ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম সীমান্তে ধরা পড়ে। বিএসএফের হাতে ধৃতদের বড় অংশ নারী ও শিশু। মূলত কলকাতা, গুয়াহাটি, দিল্লি ও মুম্বই বা বেঙ্গালুরুতে গৃহস্থলীতে কাজের লোভ দেখিয়ে এদের পাচার করা হচ্ছিল। বিএএসএফের এক আধিকারিকের মতে, ‘‘দালাল ধরে পার হওয়ার পাশাপাশি মালগাড়িতে মানবপাচার চলছে। জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পাঁচ জন বাংলাদেশি নাগরিককে পেট্রাপোল সীমান্তে ধরা পড়ে। যারা কাঁচালঙ্কা ভরা মালগাড়ির কামরায় বস্তার পিছনে লুকিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।’’

পুরুষদের পাশাপাশি মানবপাচাররোধী দলগুলিতে রাখা হয়েছে মহিলাদেরও। বিএসএফের এক কর্তার কথায়, ‘‘সীমান্তের গ্রামগুলিতে নানা ধরনের আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যাতে গ্রামের মানুষেরা তথ্য দিতেএগিয়ে আসেন। যাঁরা পাচারকারীর খপ্পরে পড়েন, তাঁরা কী ধরনের দুর্দশার শিকার হন, তা গ্রামের মানুষ, বিশেষত মহিলাদের বোঝানো হচ্ছে। সেই কারণেই মানবপাচার প্রতিরোধকারী দলে মহিলাদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আগামী দিনে ৪,০৯৬ কিলোমিটার লম্বা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ওই রকম দলের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিএসএফ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement