মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন, এই আশ্বাস দিয়ে অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চাইল তৃণমূল। দলীয় নেতারা আজ কাছাড় এসে খোলাখুলি দাবি করেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলে বৃহত্তর জোট হচ্ছে। সকলে তৃণমূল নেত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন। তাই লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচন তার সেমিফাইনাল। রাজ্যসভার সদস্য শান্তনু সেন বলেন, ‘‘সেমিফাইনালটা জিতিয়ে দিন, ফাইনাল আমরা নিশ্চিত জিতে যাব।’’ গত রবিবার পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী অবশ্য বলে গিয়েছেন, ‘‘২০১৯-এ জোট সরকার হবে। কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, ফল বেরনোর পরেই চূড়ান্ত করা হবে।’’
কাছাড় জেলায় একমাত্র দক্ষিণ ধলাই জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। এর অধীনে ১টি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য, ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি ও ৮টি গ্রুপ মেম্বার পদেও জোড়া ফুল চিহ্নে লড়ছেন প্রার্থীরা। মিজোরাম সীমানা লাগোয়া ভাগাবাজারে তাঁদের সমর্থনেই আজ বক্তৃতা করেন শান্তনুবাবু। সঙ্গে ছিলেন রাজারহাটের তৃণমূল কাউন্সিলর শাহনাজ আলি মণ্ডল, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহম্মদ শাহ আলম।
শান্তনু-শাহনাজ সকলেই বললেন, দিদি অতীত ভোলেন না। তাই আজ যাঁরা পাশে দাঁড়াবেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁরা বাড়তি গুরুত্ব পাবেন। এনআরসি প্রসঙ্গে মমতাই প্রথম অসমের বাঙালির জন্য গলা চড়িয়েছেন। শান্তনুবাবুর বক্তৃতার মধ্যেই পাশের মাইকে আজান ভেসে আসে। বক্তৃতা বন্ধ করে দেন। মসজিদের মাইক বন্ধ হলে শান্তনুবাবু ফের শুরু করেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ ওঠে। এতে দোষের কী আছে! বড় ভাই-বোনের দায়িত্বই হল ছোটদের প্রতি খেয়াল রাখা।’’