ভোটে গেরুয়া-গুন্ডামির নালিশে তপ্ত জেএনইউ

জেএনইউয়ে ভোট হচ্ছে ব্যালটে। চারটি বাম দল একজোট হয়ে লড়ছে এ বার। গত রাতে গণনা শুরুর পরে ভোররাতে গণনাকেন্দ্রে এবিভিপি হামলা চালায় বলে অভিযোগ বামেদের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৫২
Share:

ফাইল চিত্র।

গন্ডগোল শুরু হয়েছিল গত রাত থেকেই। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর ছাত্র সংসদের ভোট ঘিরে আজ রাতে চরমে উঠল অশান্তি। তাদের সদস্যদের উপরে এবিভিপি দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বাম ছাত্র জোট। ক্যাম্পাসে দুষ্কৃতী ঢুকছে বলেও দাবি করেছে তারা। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে এবিভিপি।

Advertisement

জেএনইউয়ে ভোট হচ্ছে ব্যালটে। চারটি বাম দল একজোট হয়ে লড়ছে এ বার। গত রাতে গণনা শুরুর পরে ভোররাতে গণনাকেন্দ্রে এবিভিপি হামলা চালায় বলে অভিযোগ বামেদের। ভাঙা পড়েছিল ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ বিভাগের দরজার কাচ। ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়েরও চেষ্টা হয়েছিল বলে দাবি। যার জেরে আজ ভোর চারটে থেকে সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ ছিল ভোট গণনা।

সূত্রের বক্তব্য, মোট প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটের মধ্যে সাকুল্যে শ’পাঁচেক ভোট এখনও পর্যন্ত গোনা হয়েছে। রাত সাড়ে দশটায় জানা যায়, চারটি শীর্ষ পদের মধ্যে অন্তত দু’টিতে এগিয়ে রয়েছে বামেরা।

Advertisement

আজ রাত বাড়তেই আসতে থাকে হামলার অভিযোগ। বামেদের দাবি, বিরোধী ছাত্র নেতা থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিটির সদস্যেরা— কেউই রেহাই পাননি এবিভিপি-র হামলা থেকে। আজ সন্ধ্যায় ছাত্র নেতা সুমিত্রন বসুকে মারধর করা হয় বলে জানিয়েছে তারা। তিন সতীর্থ, শতরূপা চক্রবর্তী, সায়ন দাস ও রুমাকে নিয়ে বসন্ত কুঞ্জ থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন সুমিত্রন। ফেরার পথে আক্রান্ত হন তাঁরা।

শতরূপা পরে ফেসবুকে লেখেন, ‘‘একটা গাড়ি থেকে চার জন নেমে আসে। দু’জনের মুখে রুমাল বাঁধা, হাতে বেল্ট। আমাদের বেধড়ক পেটাতে থাকে তারা। মেরেই ফেলতে চেয়েছিল। ঘটনাটা ঘটে জেএনইউয়ের পশ্চিম গেটের কাছে। ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে এ ভাবে শক্তি জাহির করছে ওরা।’’ বামেদের দাবি, সব ঠিক থাকলে রবিবার সকালেই জানা যেত নির্বাচনের ফল।

সুমিত্রনদের উপরে হামলার খবর দিয়ে রাতেই জরুরি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ‘স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ’ চত্বরে জড়ো হতে বলা হয় ছাত্রছাত্রীদের। ছাত্র-নেত্রী শেহলা রশিদ টুইটারে লেখেন, ‘দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্করপিয়ো গাড়ি বোঝাই করে লাঠিসোঁটা নিয়ে আসছে এবিভিপি-র গুন্ডারা। সিআরপি তাদের ঢুকতে দিচ্ছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। অনেকে থানায় রয়েছে। সেখানেও তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে।’

যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবিভিপি। তাদের পাল্টা দাবি, গত কাল তাদের নির্বাচনী এজেন্টকে ছাড়াই গণনা শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। যার জবাবে প্রেস বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন কমিটি জানিয়েছে, তিন বার ঘোষণার পরেও এবিভিপি-র তরফে কোনও এজেন্ট গণনাকেন্দ্রে হাজির হননি। ব্যালট বাক্স খোলা হয়ে গেলে তখন আর কাউকে ঢুকতে দেওয়ার নিয়ম নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন