উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল। ছবি: সংগৃহীত।
মাস তিনেক আগে এক যুবতীকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত ১ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাপুর জেলায় ৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে এক আখক্ষেতের ভিতর এক স্যুটকেস থেকে কঙ্কাল উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতারি! কঙ্কাল উদ্ধারের পর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। পরে তদন্তে পরিচয় জানাতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই অভিযুক্তদের খোঁজ পেলেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবতী ঝাড়খণ্ডের সিমদেগা জেলার বাসিন্দা। স্যুটকেসে কঙ্কাল উদ্ধার হওয়ার পরই সেটি খুনের ঘটনা বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরিচয় জানার পরই অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু হয়। নানা সূত্র ধরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তেরা হলেন হাপুরের বাসিন্দা অঙ্কিত কুমার এবং তাঁর স্ত্রী কালিস্তা ওরফে কালী। মৃতা কালীর গ্রামেরই মেয়ে।
অভিযোগ, অঙ্কিত এবং কালী মিলে একটি চক্র চালাতেন। গ্রাম থেকে দরিদ্র এবং অসহায় মেয়েদের ভাল কাজের টোপ দিয়ে দিল্লি-এনসিআরে নিয়ে আসতেন তাঁরা। তবে কাজের বদলে আটকে রেখে শোষণ করা হত। সেই শোষণের শিকার হন মৃত যুবতীও। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবতীকে দিল্লি আনার পর তাঁকে যৌন নির্যাতন করতেন অঙ্কিত। এমনকি, ভিডিয়ো করে পরে ব্ল্যাকমেলও করা হত। পুলিশের কাছে মুখ খুললে ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়া এবং খুনের হুমকি দিতেন ওই দম্পতি।
গত ২৭ অগস্ট রাতে কোনও কারণে ওই যুবতীর সঙ্গে অশান্তি হয়। অভিযোগ, সে সময়ই যুবতীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। খুন করার পর দেহ বাড়ির একটি ঘরে ফেলে রাখা হয়েছিল অন্তত দু’-তিন দিন। প্রতিবেশীরা যাতে দুর্গন্ধ না-পান তার জন্য সুগন্ধি স্প্রে করা হত ঘরে। পরে দেহ একটি স্যুটকেসে ভরে অটোয় করে ৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে মাঠের মধ্যে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান দম্পতি। তিন মাস পরে সেই দেহাবশেষ উদ্ধার হয়।