বুক্কাল নবাব। ছবি: এএনআই।
রাম মন্দির এবং বাবরি মসজিদ, এতদিন এই নিয়েই সরগরম ছিল দেশের রাজনীতি। এ বার তাতে ভাগ বসালেন স্বয়ং হনুমান। লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই জোরালো হচ্ছে একটা প্রশ্ন, তা হল হনুমান তুমি কার?
বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সম্প্রতি হনুমানকে দলিত বলে উল্লেখ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই বিতর্ক থিতিয়ে আসতে না আসতেই, বিস্ফোরণ ঘটালেন আর এক বিজেপি নেতা, বুক্কাল নবাব। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিধান পরিষদীয় সদস্য তিনি। তাঁর দাবি, হনুমান আসলে মুসলিম ছিলেন।
সংবাদমাধ্যম এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘‘হনুমান কারও একার নন। গোটা দুনিয়া তাঁর ভক্ত। সব ধর্মের মানুষই তাঁকে ভক্তি-শ্রদ্ধা করেন। তবে আমার বিশ্বাস হনুমান আসলে মুসলিম ছিলেন। সেই জন্যই মুসলমানদের মধ্যে রহমান, রমজান, ফরমান, জিশান, কুরবান, ইমরান, সুলতান, সুলেমান নামের প্রচলন রয়েছে। নামগুলি ওঁর নামের সঙ্গে মেলে যে! অন্য কোনও ধর্মে এমন নাম শুনেছেন কখনও!’’
আরও পড়ুন: বিষ ছড়িয়ে পড়েছে ভারতীয় সমাজে, সন্তানদের জন্য ভয় হয়: নাসিরুদ্দিন
আরও পড়ুন: কোপ পড়ল না পার্থর দফতরে, গুরুত্ব বাড়ল চন্দ্রিমার
যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন বুক্কাল নবাব। গত বছর জুলাই মাসে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত, ১৯৯২ সাল থেকে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সেইসময়, ২০১৫ সালে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
অন্য দিকে, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ এবং ধর্মীয় বিভাজন ঘটাতে গত কয়েক মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার হনুমানের ‘ধর্ম পরিবর্তন’ করা হল। নভেম্বরে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে হনুমানকে দলিত বলে উল্লেখ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যার পর এ মাসের শুরুতে হনুমান আসলে জৈন ছিলেন বলে দাবি করেন ভোপাল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সমাসগড়ের জৈন মন্দিরের আচার্য নির্ভয় সাগর মহারাজ। জৈন শাস্ত্রেও তাঁর উল্লেখ রয়েছে বলে জানান তিনি।