বন্দে ভারতের যাত্রার গোড়াতেই বিঘ্ন ঘটায় বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। ফাইল চিত্র
উদ্বোধনের পর দিনই হোঁচট খেয়েছিল। যা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষও শুনতে হয়। বিতর্ক কাটিয়ে অবশেষে রবিবার নির্ধারিত সময়েই (সকাল ৬টা) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করল যাত্রীদের নিয়ে। ট্রেনটি বেলা ২টো নাগাদ বারাণসী পৌঁছবে। সেখান থেকে বিকেল ৩টেয় ছেড়ে রাত ১১টায় নয়াদিল্লি ফেরার কথা।
এ দিন ট্রেনটি বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করার পরই টুইট করে তার ছবি প্রকাশ করেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। আগামী দুই সপ্তাহের জন্য সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলেও এ দিন টুইটে দাবি করেন রেলমন্ত্রী।
যদিও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধাক্কাই খায় কেন্দ্রীয় সরকার। উদ্বোধনের পরে ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই যান্ত্রিক সমস্যায় থমকে যায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বারাণসী থেকে নয়াদিল্লি ফেরার সময় শনিবার সকালে ট্রেনের চাকায় একটি গরু কাটা পড়ে। তাতেই ব্রেক আটকে যায়।
আরও পড়ুন: ১৬ কামরার বাতানুকূল ‘বন্দে ভারত’ ছুটতে পারে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়, চেয়ার ঘোরে ১৮০ ডিগ্রি!
যাত্রার গোড়াতেই বিঘ্ন ঘটায় বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। টুইটারে রাহুল লিখেছিলেন, ‘‘মোদীজি, আমার মতে মেক ইন ইন্ডিয়া নিয়ে সত্যিই নতুন করে ভাবা উচিত।’’ সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি টুইট করেন, ‘‘মোদী সরকারের সাফল্যের নজির এমনই। বিপুল প্রচারের পর বাস্তবে বিপর্যয়ের ছবিই ফুটে উঠছে।’’
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের পর দিনই বিপত্তি, মাঝ পথে আটকে গেল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস
নয়াদিল্লি থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে টুন্ডলার কাছে আচমকা ট্রেনের পিছনের দিকের ৪টি কামরার নীচে চাকা থেকে প্রবল ঘর্ষণের শব্দ হতে থাকে। ধোঁয়া এবং উৎকট পোড়া গন্ধে চারপাশ ভরে যায়। কামরার মধ্যেও কটু গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনের শেষের চারটি কামরার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারে নামিয়ে আনেন চালক। সকাল ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ ট্রেনটিকে থামিয়ে দেওয়া হয়। ঘণ্টা খানেক পরে মেরামতির কাজ করে ট্রেনটি ফের দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা ১টা নাগাদ ট্রেনটি রাজধানীতে পৌঁছয়।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)