১৬ কামরার বাতানুকূল ‘বন্দে ভারত’ ছুটতে পারে ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়, চেয়ার ঘোরে ১৮০ ডিগ্রি!
শুক্রবার দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ১৬ কামরার সম্পূর্ণ বাতানুকূল ট্রেনটি। উন্নতমানের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে ঘিরে উৎসাহের পারদ চড়ছিল ক্রমেই। যদিও উদ্বোধনের পর দিনই মাঝ পথে আটকে যায় অত্যাধুনিক মানের এই ট্রেনটি। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হওয়া বহু চর্চিত ট্রেনটির সম্বন্ধে এই তথ্যগুলির দিকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:১৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৯
শুক্রবার দিল্লি থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ১৬ কামরার সম্পূর্ণ বাতানুকূল ট্রেনটি। উন্নতমানের বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে ঘিরে উৎসাহের পারদ চড়ছিল ক্রমেই। যদিও উদ্বোধনের পর দিনই মাঝ পথে আটকে যায় অত্যাধুনিক মানের এই ট্রেনটি। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি হওয়া বহু চর্চিত ট্রেনটির সম্বন্ধে এই তথ্যগুলির দিকে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
০২০৯
উন্নত মানের ১৬ কামরার সম্পূর্ণ বাতানুকূল ট্রেন ‘বন্দে ভারত’। ১৪টি সাধারণ চেয়ারকার, দু’টি এগ্জিকিউটিভ চেয়ারকার। দু’প্রান্তে থাকবেন চালক ও গার্ড।
০৩০৯
এটি দেশের প্রথম ‘সেল্ফ প্রপেলড ট্রেন’। অর্থাৎ, এই ট্রেনে আলাদা করে ইঞ্জিন জুড়তে হবে না। এর সঙ্গে কোনও কামরা জোড়া বা কাটা যাবে না।
০৪০৯
রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ট্রেন দূরপাল্লার অন্য ট্রেনের থেকে অনেক দ্রুত গতির। গতির কারণে যাত্রাপথের ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সময় বাঁচানো যাবে। যে কোনও পরিস্থিতিতে ট্রেনটিকে থামানোর জন্য এতে রয়েছে উন্নত মানের ব্রেক। সর্বাধিক গতি ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
০৫০৯
বন্দে ভারতের প্রতিটি কামরায় রয়েছে স্বয়ংক্রিয় এবং সেন্সর নিয়ন্ত্রিত বাতানুকূল ব্যবস্থা। শৌচাগারের কল, ভেস্টিবিউলের দরজাও নিয়ন্ত্রণ করছে সেন্সর। সবই বায়ো-টয়লেট।
০৬০৯
কোন স্টেশন আসছে, তা জানানোর জন্য রয়েছে জিপিএস প্রযুক্তি। ট্রেনের গতিবেগও স্ক্রিনে ভেসে উঠবে। প্রতিটি কামরায় রয়েছে সিসি ক্যামেরা।
০৭০৯
যাত্রী নিরাপত্তার দিকটিও বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ট্রেনটিতে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চালকের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন যাত্রীরা। রয়েছে ওয়াইফাই ব্যবস্থাও।
০৮০৯
ট্রেনটিতে এগ্জিকিউটিভ শ্রেণির চেয়ার ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘোরানো যাবে। আসনের তলায় মোবাইল চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। বন্দে ভারতে দিল্লি-বারাণসী সাধারণ শ্রেণির ভাড়া ১৭৯৫ টাকা, এগ্জিকিউটিভ শ্রেণিতে ৩৪০০।
০৯০৯
উদ্বোধনের দিনেই নয়াদিল্লি, কানপুর এবং ইলাহাবাদ স্টেশনে এই ট্রেন নিয়ে উৎসাহ দেখা যায়। মার্চে এমন ধরনের আরও একটি ট্রেন আসার কথা। ‘বন্দে ভারত’-এর প্রাথমিক উদ্যোগ সফল হলে ভবিষ্যতে হাওড়া-ভুবনেশ্বর এবং হাওড়া-পটনার মতো রুটেও এমন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে রেলের।