আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে অব্যহতি চাইলেন অধ্যাপক সোমনাথ দাশগুপ্ত। শুক্রবার মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবকে চিঠি দিয়ে তিনি তাঁর ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন। সোমনাথবাবু আজ চিঠির কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ‘‘একান্ত ব্যক্তিগত কারণেই অব্যহতি চেয়েছি। এর মধ্যে অন্য কোনও কারণ খোঁজা অর্থহীন।’’
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সোমনাথ দাশগুপ্ত। সেই সময় রেজিস্ট্রার পদ ফাঁকা পড়েছিল। অস্থায়ী ভাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন অধ্যাপক নিরঞ্জন রায়। কয়েক দিন আগে এবিভিপি-র প্রাক্তন প্রান্ত সভাপতি সঞ্জীব ভট্টাচার্যকে এই পদে নিযুক্তি দেওয়া হয়। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, কলেজ ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের অধিকর্তা এবং জনসংযোগ অফিসার পদও পূরণ করেন তিনি। তবে সহকারী উপাচার্যের দু’টি পদ এখনও ফাঁকা। অধ্যাপক রামেন্দু ভট্টাচার্য ডিফু ক্যাম্পাস থেকে বদলি হওয়ার পর সহকারী উপাচার্য পদে কাউকে নেওয়া হয়নি। পরে রামেন্দুবাবু মারা গেলে শিলচর ক্যাম্পাসেও সহকারী উপাচার্যের একটি পদ শূন্য। ফলে তিন সহ-উপাচার্যের মধ্যে এখন একমাত্র দেবাশিস ভট্টাচার্য রয়েছেন। অনুমান, সোমনাথ দাশগুপ্তের আর্জি মেনে নেওয়া হলে দেবাশিসবাবুকে অস্থায়ী ভাবে উপাচার্যের দায়িত্বভার সামলাতে বলা হবে। আবার সবচেয়ে প্রবীণ কোনও অধ্যাপককেও অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।