Viral

বাবা-মায়ের ঝগড়ায় অতিষ্ঠ, নিষ্কৃতিমৃত্যু চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি কিশোরের

১৫ বছরের ওই কিশোর তার বাবা-মায়ের নিত্যদিনের ঝগড়ায় এতটাই হতাশ, যে সে মৃত্যু চাইছে। আর তার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমতি চেয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ১৭:১৯
Share:

রাষ্ট্রপতি ভবন

বয়স মাত্র ১৫ বছর। কিন্তু বাবা-মায়ের ঝগ়ড়ায় এতটাই বীতশ্রদ্ধ, বিরক্ত যে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করে রাষ্ট্রপতির কাছে। সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এল। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছে বিহারের ভাগলপুর প্রশাসনকে।

Advertisement

বিহারের ভাগলপুরের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নির্দেশ এসেছে। কেন ১৫ বছরের একটি ছেলে নিষ্কৃতিমৃত্যু চাইছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। ১৫ বছরের ওই কিশোর তার বাবা-মায়ের নিত্যদিনের ঝগড়ায় এতটাই হতাশ, যে সে মৃত্যু চাইছে। আর তার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমতি চেয়েছে।

প্রায় মাস দুয়েক আগে ওই কিশোর রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লেখে। মঙ্গলবার সেই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়। কিশোরের আসল বাড়ি বিহারে। কিন্তু বর্তমানে সে ঝাড়খণ্ডে থাকে। দেওঘরে তার বাবা রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতরে ম্যানেজার পদে কর্মরত। আর মা বিহারের পটনায়একটি ব্যাঙ্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার।

Advertisement

আরও পড়ুন: মৃত মালিককের গাড়ি ছেড়ে ‘পালাচ্ছে’ সাপ!

আরও পড়ুন: শিকার করা সিংহের পাশে বসে চুম্বন, বিশ্ব জুড়ে নিন্দিত কানাডার দম্পতি

এই কিশোর তার চিঠিতে রাষ্ট্রপতিকে লিখেছে, কী ভাবে তার বাবা-মায়ের ঝগড়ায় সে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আর এই ঝগড়া তার পড়াশোনার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। সে আরও অভিযোগ করেছে, তার বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত। তার ওপর মায়ের নির্দেশে সমাজবিরোধীরা তাঁকে বার বার হুমকি দিচ্ছে।

বিহারে ভাগলপুরের কাহালগাঁও-তে কিশোরের ছেলেবেলা কেটেছে। সেখানে ওই কিশোরের দাদু এনটিপিসিতে কাজ করতেন। দাদুর অবসরের পরসে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে বাবার কাছে চলে যায় পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে।

কিশোরের মা-বাবা দু’জনেই একে অপরের বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভাগলপুর জেলা প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন