Delhi Death

দিল্লির আবাসনে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ, পাশে শুয়ে বৃদ্ধ স্বামী! প্রতিবন্ধী ছেলে বললেন, ‘বাবা-মা ঘুমোচ্ছে’

জামিয়া নগরের এক আবাসনের ঘর থেকে সোমবার ৬৫ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম আফতাব জেহান। স্ত্রীর মরদেহের পাশেই শুয়েছিলেন বৃদ্ধ স্বামী সিরাজ খান। ৭০ বছরের সিরাজ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সঙ্গীত শিক্ষক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:০১
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল ৬৫ বছরের বৃদ্ধার পচাগলা দেহ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হল পাশেই শুয়ে থাকা বৃদ্ধ স্বামীকে। সোমবার দিল্লির জামিয়া নগরে ঘটনাটি ঘটেছে। কত দিন ধরে দেহটি ওই ভাবে পড়ে ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। একই ঘর থেকে দম্পতির মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে বাবা গুরুতর অসুস্থ, মা নেই— এ সব এখনও বিশ্বাসই হচ্ছে না তাঁর। বার বার বলছেন, ‘‘বাবা-মা ঘুমোচ্ছে!’’

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামিয়া নগরের এক আবাসনের ঘর থেকে সোমবার ৬৫ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম আফতাব জেহান। স্ত্রীর মরদেহের পাশেই শুয়েছিলেন বৃদ্ধ স্বামী সিরাজ খান। ৭০ বছরের সিরাজ জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সঙ্গীত শিক্ষক। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। একই ঘর থেকে তাঁদের ছেলে ইমরানকেও উদ্ধার করেছে পুলিশ। বছর পঞ্চাশের ইমরান মানসিক প্রতিবন্ধী।

প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই ওই দম্পতিকে ঘরের বাইরে বেরোতে দেখেননি তাঁরা। দরজাও ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ডেকেও সাড়াশব্দ মিলছিল না। অনেক পরে ভিতর থেকে সাড়া দেন দম্পতির পুত্র। কিন্তু দরজা খোলেননি তিনি। শেষমেশ রবিবার রাতে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দেখা যায়, বিছানার উপর পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ। তাঁর স্বামী সিরাজ পড়ে রয়েছেন পাশেই। পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ-পূর্ব) হেমন্ত তিওয়ারি বলেন, ‘‘দম্পতির ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। বার বার বলছিলেন, বাবা-মা ঘুমোচ্ছেন। মনে হচ্ছে গত তিন-চার দিন কিছুই খাননি তিনি। কাউকে সাহায্যের জন্য ডাকতেও পারেননি।’’ প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। তবে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement