আইএএস, আইপিএসের চাকরির পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ জানান এই পরীক্ষাকে আপাতত স্থগিত করে দিতে ইউপিএসসিকে পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র। পরীক্ষা পদ্ধতি ও পাঠ্যক্রম নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের একাংশের ভিতরে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জেরেই এই সিদ্ধান্ত। রাতের খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠিত তিন সদস্যের কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পরীক্ষা স্থগিত করা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী মাসের ২৪ তারিখ হওয়ার কথা ছিল।
আইএএস, আইপিএস এবং আইএফএস পরীক্ষার কিছু ক্ষেত্রে (সিভিল সার্ভিস অ্যাপটিটিউড টেস্ট- দ্বিতীয় পত্র) পাঠক্রম বদলের দাবি তুলেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। এখন ইউপিএসসি কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, পাঠ্যক্রম এবং ভাষাগত বিষয় নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট নীতি নির্ধারণের পরেই পরীক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
সংসদের বাইরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ মন্তব্য করেছেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারাও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট জমা দিন। যাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।”
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার তিনটি ধাপ। প্রাথমিক (প্রিলিমিনারি), প্রধান (মেন) এবং সাক্ষাৎকার। প্রাথমিক পরীক্ষায় ২০০ নম্বর করে দু’টি পত্র রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের আপত্তি দ্বিতীয় পত্রটির পাঠ্যক্রম এবং ধরন নিয়ে। যে পরীক্ষার্থীরা গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাদের যুক্তি ছিল, হিন্দিভাষী রাজ্যগুলির গ্রামাঞ্চল থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষার সময় সমস্যায় পড়বেন। গত কাল ইউপিএসসির দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকরা। অনশনেও বসেছিলেন অনেক ছাত্র। এর পরেই কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলেছে সরকার।
কিছু দিন আগে সরকারি কাজে হিন্দির ব্যবহারকে গুরুত্ব দিয়ে মোদী সরকারের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিতর্ক তুলেছিলেন জয়ললিতারা। এ বার যেন উল্টো ছবি ইউপিএসসির সিদ্ধান্তে।