ওজন বশে রেখে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে ভারী খাবারের মাঝে হালকা পুষ্টিকর স্ন্যাকসে। কী খেতে পারেন স্ন্যাকস হিসেবে? যা খিদে মেটাবে, এনার্জিও জোগাবে। জেনে নিন ১০ পুষ্টিকর স্ন্যাকস। দিনের দুটো বড় মিলের মাঝে হালকা খিদে মেটাতে খেতে পারেন এগুলো। এতে লাঞ্চ-ডিনারে অতিরিক্ত খাওয়া কমাতে পারবেন।
আমন্ড: গবেষণায় দেখা গিয়েছে আমন্ড যদি একটু সময় নিয়ে ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া যায় তা হলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে।
ছোলা: কাবলি ছোলা, মটর স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়ার জন্য খুবই ভাল। একমুঠো খেলেই পেট ভরে যায়। এনার্জি পাওয়া যায় চটজলদি। আবার ডায়াবেটিকদের জন্যও উপকারি।
তাজা ফল: তরমুজ, পেঁপে, মেলন, আঙুর জাতীয় ফল কেটে দিনের কোনও একটা সময় অবশ্যই স্ন্যাকিং করুন। বাইরে থাকলে ফল কেটে না নিয়ে গিয়ে গোটা আপেল, আঙুর, লেবু, কলা ব্যাগে রাখুন।
ডার্ক চকোলেট: ডায়েটিশিয়ানরা বলেন প্রতি দিন ডায়েটে অল্প হলেও ডার্ক চকোলেট রাখুন। ডার্ক চকোলেট রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, খিদেও মিটিয়ে দেয়।
টাটকা সব্জি: টাটকা ফলের মতো পুষ্টিকর টাটকা সব্জি। বাড়িতে থাকলে ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চের মাঝে টাটকা স্যালাড অবশ্যই খান। অফিসেও গাজর স্লাইস, কড়াইশুঁটি ছাড়িয়ে, শশা-টোম্যাটো কেটে নিয়ে যেতে পারেন। তবে বেশিক্ষণ রাখবেন না। তাড়াতাড়ি খেয়ে নেবেন।
পপকর্ন: প্রসেসড ফুড হলেও পপকর্ন স্বাস্থ্যকর। চিজ বা ক্যারামেল পপকর্ন নয়, প্লেন পপকর্ন খান। বাড়িতে বানাতে পারলেও আরও ভাল। পপকর্ন খুব সহজেই পেট ভরিয়ে দেবে।
ইয়োগার্ট: পেট ভরানোর সঙ্গে পুষ্টির কথা মাথায় রাখলে ইয়োগার্ট হতে পারে সবচেয়ে ভাল স্ন্যাকস।
ড্রাই ফ্রুটস: ব্যাগে সব সময় রেখে দিতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস। অফিসের ডেস্কেও বোতলে ভরে রাখা যায়। বেড়াতে গেলেও সঙ্গে রাখুন ড্রাই ফ্রুটস। রাস্তাঘাট, বাস, ফ্লাইট যে কোনও সময় খেতে পারেন। পুষ্টিকর স্ন্যাকস আপনাকে এনার্জিও জোগাবে।
ওটমিল: যদি ডিনারের পর বা মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে হঠাত্ খিদে পায় তা হলে খান ওটমিল। ওটস যেমন পুষ্টিকর, তেমনই পেট ভরিয়ে ঘুম আনতে সাহায্য করবে।
আপেল: যে কোনও সময় স্ন্যাকসের জন্য সবচেয়ে ভাল আপেল। এই ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আর নতুন করে কিছু বলার নেই। স্বাদ বাড়াতে আপেল স্লাইসের উপর পিনাট বাটার দিয়ে খেতে পারেন স্ন্যাকস।