কখনও সেলেবদের, কখনও বা সহকর্মী-বন্ধুদের। পরকীয়া সম্পর্ক সব সময়ই আলোচনার বিষয়। অথচ এই সম্পর্কগুলোর গভীরে লুকিয়ে থাকে অনেক কারণ। কোথাও একাকীত্ব, কোথাও বা বঞ্চনার গল্প। কোন পরিস্থিতির শিকার হয়ে মানুষ জড়িয়ে পড়ে পরকীয়া সম্পর্কে?
জীবনে ভাল ভাবে থিতু হতে তিরিশ পেরিয়ে যায়। অনেকেরই মধ্য কুড়ির মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়। জীবন উপভোগ করার তাগিদে তারা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
অনেকেই বাড়ির চাপ, সামাজিক চাপে পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও বিয়েতে রাজি হয়ে যান। বিয়ের পর ভুল বুঝতে পারেন। তথন অন্য কারও সঙ্গে জড়িয়ে পড়া খুবই স্বাভাবিক।
সারা জীবন সময় এক রকম থাকে না। খারাপ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া জীবন, সম্পর্ককে সুন্দর করে। খারাপ সময়ের সঙ্গে যুঝতে না পেরে অনেকেই বাইরে মুক্তির স্বাদ খোঁজেন। সেখান থেকে শুরু হয় পরকীয়া।
সন্তানের আবির্ভাবে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের সমীকরণ পরিবর্তিত হয়। সন্তানের দায়িত্ব নিতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। যা অনেক সময়ই পরকীয়া সম্পর্কের কারণ হয়ে ওঠে।
বিবাহিত জীবনে যৌন অতৃপ্তি পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অন্যতম বড় কারণ।
অনেক ক্ষেত্রে বিয়ের সময় পারিবারিক স্টেটাসে মিল দেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। মনের মিল রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিই না। এই মনের মিল না থাকাই পরে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। ডেকে আনে পরকীয়ো সম্পর্ক।
কঠিন পরিস্থিতি জীবনে মানুষ চেনায়। জীবনে যখন খারাপ সময় আসে তখন যদি দু’জনের মূল্যবোধে আকাশ-পাতাল ফারাক থাকে তবে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হয়। এর থেকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
সারা জীবন এক সঙ্গে কাটাতে হলে একে অপরের গুরুত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে জানা ও সম্মান করা জরুরি। অধিকাংশ সময়ই দেখা দু’জনের জীবনের গুরুত্বের জায়গাগুলো আলাদা। ফলে নিজের মতো মানুষের সঙ্গে গড়ে উঠতে পারে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক।
এক সময়ে একে অপরের প্রতি তীব্র ভাললাগা থেকে সম্পর্ক গড়ে উঠলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খারাপ লাগা সামনে আসতে শুরু করে। বোঝা যায় একে অপরের থেকে কতটা আলাদা। দূরত্ব বাড়তে থাকে। যা অনেক সময়ই বিবাহ বহির্ভূত সন্পর্কের জন্ম দেয়।
প্রতি দিনের জীবন অনেক সময়ই এরঘেয়ে হয়ে ওঠে। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের বাইরে শুধু মাত্র উত্তেজনা খুঁজতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেকে।
আর্থিক সমস্যা: পারিবারিক খরচ সামাল দিতে গিয়ে অনেক সময় নিজের পছন্দ, স্বাদ-আহ্লাদ মেটানো হয়ে ওঠে না। কোনও বন্ধুর ভালবেসে স্বাদ-আহ্লাদ মিটিয়ে দেওয়া থেকে গড়ে উঠতে পারে সম্পর্ক।
কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা কেরিয়ারে উন্নতির জন্যই শুধু সম্পর্কে জড়াতে পারেন। এদের থেকে দূরে থাকুন। এঁরা সম্পর্ককে উন্নতির সিঁড়ি হিসেবে দেখেন।