Waking Up Tips

সকালে ঘুম ভাঙবে যথাসময়ে, থাকবে না ক্লান্তিও! শুধু মেনে চলতে হবে ৫টি উপায়

ঘুম না ভাঙলে কাজের দেরি, অফিসে যাওয়ার থাকলে সেখানে দেরি। ফলে দিনের শুরুটাই ঘেঁটে ঘ। অথচ সহজ কয়েকটি রুটিন মেনে চললেই ঘুম থেকে উঠতে না পারার এই ক্লান্তিবোধ থাকে না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:০৪
Share:

ছবি : সংগৃহীত।

সকাল ৭টায় অ্যালার্ম। অথচ সেই অ্যালার্ম বাজার পরেও ঘুম ভাঙতে চাইছে না। বার বার হাত যাচ্ছে স্নুজ় বাটনে। ৫ মিনিট-৫ মিনিট করে হয়তো দেখা গেল পুরোপুরি ঘুম ভাঙতে সাড়ে ৭টা কিংবা ৭টা ৪০ বেজে গেল। কখনও এমনও হল যে অ্যালার্ম বন্ধ করে উঠবেন বলে ভেবেও ঘুমিয়ে পড়লেন।

Advertisement

এমন হলে কাজের দেরি, অফিসে যাওয়ার থাকলে সেখানে দেরি। ফলে দিনের শুরুটাই ঘেঁটে ঘ। অথচ সহজ কয়েকটি রুটিন মেনে চললেই ঘুম থেকে উঠতে না পারার এই ক্লান্তিবোধ থাকে না। বরং অনেক সময় দেখবেন, অ্যালার্ম ছাড়াই ঠিক ৭টার সময় আপনা থেকেই চোখ খুলে গেল!

১। প্রথমেই যেটা ঠিক করতে হবে তা হল দেহঘড়ির রুটিন। কাজটা খুব সহজ নয়। আবার খুব কঠিনও নয়। এর জন্য প্রতি দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যেতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠতে হবে। অবশ্য ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময়ও রাখতে হবে। ধরা যাক, সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠতে হলে সাড়ে ১১টার মধ্যে ঘুমোতে যেতে হবে। যাতে ঘুমের জন্য ৭টি ঘণ্টা বরাদ্দ থাকে। সপ্তাহান্তের ছুটির দিনেও এর নড়চড় করা চলবে না। কয়েক সপ্তাহ এভাবে চললে ফল দেখতে পাবেন।

Advertisement

২। ঘুমনোর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, টিভি দেখা বন্ধ করতে হবে। এ যুগে তা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে না অনেকের ক্ষেত্রেই। কিন্তু চেষ্টা করতে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুুকুতেই স্ক্রিনটাইম সীমাবদ্ধ রাখা।

৩। অ্যালার্ম ঘড়িটি বা যদি ফোনে অ্যালার্ম দেওয়া থাকে তবে ফোনটি রাখুন বিছানা থেকে কিছুটা দূরে। যাতে হাত বাড়িতে সেটি বন্ধ না করা যায়। যাতে অ্যালার্ম বন্ধ করতে বিছানা ছাড়তেই হয়।

৪। ঘুম থেকে ওঠার পরেই জানলার পর্দা খুলে দিন বা চোখে সূর্যের আলো পড়ে এমন জায়গায় যান। সূর্যের আলো দেহঘড়ির সময় নতুন করে বেঁধে দিতে পারে।

৫। ঘুমনোর ৪ ঘণ্টা আগে থেকে চা বা কফি খাওয়া বন্ধ করুন। ঘুমনোর ঘণ্টা চারেক আগে শরীরচর্চাও করবেন না। এতে শরীরের পেশি এবং স্নায়ু নতুন করে জেগে ওঠে। ফলে ঘুম আসতে সমস্যা হতে পারে। এর পাশাপাশি, ভাল ঘুমের জন্য ঘুমের জায়গাটিও অনুকূল হওয়া জরুরি। সেখানে যেন যথেষ্ট অন্ধকার এবং ঠান্ডা ভাব থাকে। উজ্জ্বল আলো এবং গরম থাকলেও ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement