ছবি : সংগৃহীত।
ইতিমধ্যেই ভোরবেলা চাদর টানতে হচ্ছে। নেভাতে হচ্ছে এসি। কমাতে হচ্ছে ফ্যানের রেগুলেটর। কারণ, বাতাসে একটা শিরশিরানি টের পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। আবহাওয়ার বদলও বেশ বোঝা যাচ্ছে। ত্বকে হালকা টান ধরছে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে ঠোঁটও শুষ্ক হতে শুরু করেছে।
ঠিক এই সময় থেকেই সতর্ক হলে ঠোঁটফাটার সমস্যা দূর হবে। ঋতু পরিবর্তনের সময়েও ঠোঁট থাকবে পেলব, মসৃণ। বাড়তি পাওনা? ফিরবে স্বাভাবিক লালচে ভাবও। জেনে নিন তিনটি সহজ লিপ মাস্ক।
১. মধু এবং নারকেল তেলের মাস্ক
মধু একটি প্রাকৃতিক হিউমেক্ট্যান্ট যা আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং নারকেল তেল ঠোঁটকে গভীর থেকে পুষ্টি যোগায়।
উপকরণ: ১ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ নারকেল তেল (হালকা গরম করে নেওয়া)
পদ্ধতি: একটি ছোট পাত্রে মধু এবং নারকেল তেল ভাল ভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে লাগান।১৫-২০ মিনিট রেখে দিন বা চাইলে সারা রাত রেখে সকালে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. ব্রাউন সুগার, মধু এবং অলিভ অয়েলের মাস্ক
এটি একইসাথে স্ক্রাব এবং মাস্কের কাজ করে। ব্রাউন সুগার মৃত কোষ দূর করে এবং মধু ও অলিভ অয়েল ঠোঁটকে নরম করে।
উপকরণ: ১ চা চামচ ব্রাউন সুগার, ১ চা চামচ মধু এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল বা কাঠবাদামের তেল
পদ্ধতি: সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে মিশ্রণটি ঠোঁটে আলতো করে ১ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে ঠোঁট মৃত কোষ মুক্ত হবে। এরপর এটি মাস্ক হিসেবে ঠোঁটে আরও ১০ মিনিট রেখে দিন। হালকা গরম জল দিয়ে আলতো করে মুছে বা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।
৩. হলুদ এবং দুধের মাস্ক
হলুদে থাকে প্রাকৃতিক উপাদান যা ঠোঁটের কালচে ভাব কমাতে সাহায্য করে এবং দুধ ঠোঁটকে আর্দ্রতা দেয়।
উপকরণ: ১ চা চামচ কাঁচা দুধ, সামান্য এক চিমটি হলুদ
পদ্ধতি: দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। সেটি ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ঠোঁটের স্বাভাবিক গোলাপি আভা ফিরে আসতে সাহায্য করে।