বাড়ির ছোটদের জন্য ঘরে বানিয়ে নিন ময়েশ্চারাইজ়ার, রইল পদ্ধতি। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
শিশুর ত্বক খুবই সংবেদনশীল। তাই তাদের কোমল ত্বকের জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। বহু বাবা-মা ভাবেন, শুধু শীতকালেই বুঝি ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে হয়। গরমকালে নয়। এই ধারণা ভুল।সারা বছরই শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে শীতে ছোটদের ত্বক আরও বেশি রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। শুষ্কতার কারণে ত্বকের লালচে ভাব, চুলকানি দেখা দিতে পারে। এই সময়ে কেনা ক্রিম নয়, বরং বাড়িতেই বানিয়ে নিন ময়েশ্চারাইজ়ার।
ঘরোয়া কিছু কৌশল জানা থাকলেই শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া সম্ভব। সাধারণত তেল-ক্রিমেই আটকে থাকেন শিশুর অভিভাবকরা। কিন্তু রুক্ষতা রুখতে মাথায় রাখতে হয় আরও কিছু উপায়।
কী ভাবে বানাবেন ময়েশ্চারাইজ়ার?
দুধ ঘন করে জ্বাল দিয়ে উপরের সর তুলে নিতে হবে। এই সর পরিষ্কার পাত্রে রাখবেন। এ বার একটি পাত্রে সেই মালাই নিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। ৩-৫ মিনিট ধরে ফেটাতে হবে যাতে ঘন ও মিহি মিশ্রণ তৈরি হয়। এ বার তাতে এক এক করে মিশিয়ে দিতে হবে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল, অলিভ অয়েল। ভাল করে নাড়তে হবে। মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে, তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে দিন। এই দুই উপাদানই ত্বক আর্দ্র ও সতেজ রাখবে। শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও দূর করবে। এ বার সেই মিশ্রণে মেশান সামান্য গোলাপজল। এতে সুন্দর গন্ধ হবে। র পর ত্বকের ধরন বুঝে চাইলে এসেনশিয়াল অয়েল মেশাতেও পারেন আবার না-ও মেশাতে পারেন। এসেনশিয়াল অয়েলে অনেকের অ্যালার্জি থাকে। তাই বুঝেশুনেই ব্যবহার করতে হবে। এসেনশিয়াল অয়েলের মধ্যে খুব সামান্য ল্যাভেন্ডার অয়েল মেশানো যেতে পারে। ক্রিম তৈরি হয়ে গেলে সেটিকে একটি বায়ুনিরোধী শিশির মধ্যে নিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।