লাল টুকটুকে ফলে কেশচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
রূপচর্চার ক্ষেত্রে প্রসাধন সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি ব্যবহারের পাশাপাশি এখন প্রাকৃতিক টোটকা প্রয়োগের ধুম উঠেছে। আর এই শীতের মরসুমে বাজারে মিলছে টাটকা ফল ও সব্জি। তারই একটি ফল আপনার কেশচর্চার সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে। কেবল জানতে হবে, কী ভাবে ব্যবহার করবেন।
ফলটি হল, বেদানা। রসালো ছোট ছোট অসংখ্য দানায় ভরা এই ফল নানা ভাবে উপকারী। জেনে নিন পদ্ধতি—
বেদানার রস দিয়ে কেশচর্চা। ছবি: সংগৃহীত।
বেদানার বীজে বেনজ়োয়িক অ্যাসিড থাকে, যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে। এটি চুলের ফলিকলগুলিকে পুষ্ট করতে পারে। আর্দ্রতার ভারসাম্যও বজায় থাকে বেদানার রস মাখলে। ফলে সামগ্রিক ভাবে চুল দ্রুত বেড়ে ওঠার মতো পরিবেশ পায়। তা ছাড়াও, বেদানার পিউনিকিক অ্যাসিড চুলের ফলিকলগুলিকে মজবুত করে তোলার কাজে লাগে। উপরন্তু বেদানায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে বলে চুলের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় থাকে।
বেদানার রস কী ভাবে মাথায় মাখবেন?
ক্লিনজ়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হলে—
১. বাজারজাত বেদানার রস নয়, বরং টাটকা ফল থেকে রস বার করে অল্প জল দিয়ে পাতলা করে নিন।
২. তাতে ৩-৪ চামচ শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন।
৩. মাথায় মেখে কয়েক মিনিটের জন্য রেখে দিন।
৪. জল দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
৫. শ্যাম্পুর পর রোজের কন্ডিশনার মেখে নিন চুলে।
মাস্ক হিসেবে মাখতে হলে—
১. টাটকা ফল কেটে দানাগুলি চিপে রস বার করে নিন।
২. এতে ২ টেবিল চামচ দই এবং ১ টেবিল চামচ মধু যোগ করুন।
৩. মিশ্রণটি মাথার ত্বক এবং চুলে সমান ভাবে মেখে নিন।
৪. ৩০ মিনিটের জন্য রেখে হালকা শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক বার এই মাস্কটি মেখে ত্বকচর্চা করতে পারেন।