কোন কোন অভ্যাসে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়বে না? ছবি: ফ্রিপিক।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স তো বাড়বেই! তবে পরিবর্তিত জলবায়ু, অতিরিক্ত দূষণ ত্বকে বেশ প্রভাব ফেলছে। শুধু বাজার থেকে অ্যান্টি এজিং ক্রিম কিনে নয়, ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে শরীর ভিতর থেকেও সুস্থ রাখতে হবে। যৌবন যদি ধরে রাখতে হয়, তা হলে ডায়েট, শরীরচর্চার পাশাপাশি নিয়মিত কিছু অভ্যাসও আয়ত্ত করা জরুরি।
স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খাওয়া, বেশি করে ফল এবং শাক-সব্জি খাওয়ার দিকে জোর দিতে হবে। সঙ্গে বাইরের ভাজাভুজি, অতিরিক্ত শর্করা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। ফাইবার আছে এমন খাবার খেতে হবে বেশি করে। মরসুমি ফল রোজের ডায়েটে রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত জল
দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেতেই হবে। পর্যাপ্ত জল খেলে শরীর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাবে। ত্বককে আর্দ্র ও সতেজ রাখতেও সাহায্য করে জল।
টানা ৮ ঘণ্টার ঘুম
অফিস, বাড়ি, ব্যক্তিগত দায়দায়িত্ব, সব সামলে আলাদা করে নিজের জন্য সময় পাওয়া যায় না। নিজেকে সময় দেওয়া, নিজের যত্ন নেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল পর্যাপ্ত ঘুমোনো। ঘুমের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ভালমন্দ। তাই সুস্থ থাকতে ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু কাজের চাপে ঘুমই সবচেয়ে কম হয় অনেকের। তার উপর রাত জেগে সিনেমা, সিরিজ় দেখার নেশা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। সব মিলিয়ে ফিট থাকতে যত ক্ষণ ঘুমোনোর কথা, তার চেয়ে কম ঘুম হয়। চেষ্টা করেও তখন কিছুতেই ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনো যায় না। শরীর চাঙ্গা রাখতে, রোগবালাইয়ের ঝুঁকি কমাতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সবার আগে কিন্তু চাই পর্যাপ্ত ঘুম।
ত্বকের যত্ন
বাড়ি ফিরে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত শরীরে কোনও দিকে তাকানোর ক্ষমতা থাকে না। ধরে ধরে ত্বকের যত্ন নেওয়া দূর, এক এক দিন তো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতেও ইচ্ছে করে না। কিন্তু বয়স তো কমছে না। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তার ছাপ ফুটে উঠবে মুখে। প্রতি মাসে সালোঁয় যাওয়া সম্ভব না হলেও ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিন্তু ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। প্রথমে মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তার পর ত্বকের ধরন বুঝে মেখে ফেলুন টোনার। ক্লিনজ়িং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজ়িং, অর্থাৎ ‘সিটিএম’-এর নিয়ম মেনে সবশেষে ময়েশ্চারাইজ়ার মাখতে হয়। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, এই পর্যায়ে ময়েশ্চারাইজ়ারের বদলে মাখতে পারেন নারকেল তেল। তাতেও ত্বক ভাল থাকবে।
নিয়মিত শরীরচর্চা
সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। কমবেশি তা সকলেই জানেন। অনেকে তা মেনেও চলেন। শুধু ওজন বশে রাখতে নয়, শরীর সুস্থ ও সতেজ রাখতে প্রতি দিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করা দরকার। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এজিং’ জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম নিয়মিত করতে পারলে অকালবার্ধক্য ঠেকানো যায়, যেমন যোগাসন, জ়ুম্বা নাচ, স্কোয়াট, পুশ আপ, সাইক্লিং, সাঁতার।