Jamai Sasthi 2025

তিন রকমের মাছ ও মটন কষা, প্রথম জামাইষষ্ঠীতে রুবেলের জন্য শ্বেতার বাড়িতে আর কী কী আয়োজন?

বিয়ের পর তারকা দম্পতি শ্বেতা-রুবেলের প্রথম জামাইষষ্ঠীকে ঘিরে দুই পরিবারে ব্যস্ততা। নতুন জামাইয়ের জন্য দুপুরে থাকছে পঞ্চব্যঞ্জনের আয়োজন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৫ ১৪:০৭
Share:

বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী নিয়ে উচ্ছ্বসিত রুবেল (বাঁ দিকে) এবং শ্বেতা। ছবি: সংগৃহীত।

বিয়ের প্রথম বছরে দম্পতির জীবনে জামাইষষ্ঠীর মাহাত্ম্য অন্য রকম। গত জানুয়ারি মাসে ছোট পর্দার চর্চিত জুটি শ্বেতা ভট্টাচার্য এবং রুবেল দাসের চার হাত এক হয়েছে। প্রথম জামাইষষ্ঠীতে শ্বেতার বাড়িতে রুবেলকে নিয়ে পরিকল্পনা কী রকম?

Advertisement

শ্বেতা-রুবেল, দু’জনেই ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনেতা। শনিবার সারা রাত শুটিং করতে হয়েছে শ্বেতাকে। তাই জামাইষষ্ঠীর আয়োজনে তিনি আলাদা করে বাড়িতে সময় বার করতে পারেননি। তবে শ্বেতার মা নতুন জামাইয়ের জন্য আয়োজনে কোনও খামতি রাখছেন না। বিয়ের আগে শ্বেতা-রুবেল দীর্ঘ দিন সম্পর্কে ছিলেন। তাই রুবেলের পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে শ্বেতার মায়ের স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। নতুন জামাইয়ের জন্য বিশেষ দিনে সেই সব পদই তিনি রান্নার পরিকল্পনা করেছেন।

রবিবার দুপুরে রুবেলের পাতে থাকছে ভাত, শুক্তো, মাছের মাথা দিয়ে ডাল এবং পাঁচ রকমের ভাজা। এ ছাড়াও থাকবে মোচা চিংড়ি, দই কাতলা, বেগুন দিয়ে ইলিশ মাছের ঝোল এবং মটন কষা। অভিনেতাদের নিয়মিত ডায়েটে থাকতে হয়। কিন্তু জামাইষষ্ঠীর দিনে শাশুড়ি কোনও রকম বাহানা শুনতে নারাজ। তাই শেষ পাতে থাকছে তিন রকমের মিষ্টি, চাটনি, পাঁপড় এবং আইসক্রিম।

Advertisement

পরিবারের সঙ্গে রুবেল-শ্বেতা। ছবি: সংগৃহীত।

একা হাতে যাবতীয় আয়োজন করেছেন শ্বেতার মা। কিন্তু অভিনেত্রী জানালেন, তাঁর মায়ের শরীর গত কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ। শ্বেতার কথায়, ‘‘সুগারের জন্য মায়ের রেটিনায় জল জমেছে। বুধবার অস্ত্রোপচার হবে। একটু টেনশনে রয়েছি।’’ শরীর খারাপ হলেও জামাই আদরে কোনও রকম খামতি রাখতে নারাজ শ্বেতার মা। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘প্রথম বছর। তাই মা তাঁর মতো জামাইকে খুশি করার চেষ্টা করেছেন। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এটাই চাই।’’

রবিবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ির জন্য রুবেলও শুটিংয়ের ফাঁকে আলাদা করে ইলিশ মাছ কেনার জন্য সময় বার করেছেন। শ্বেতা জানালেন, রুবেল কিন্তু শাশুড়ির জন্য জামাইষষ্ঠীর উপহারও কিনেছেন— একটি সালোয়ার-কামিজের সেট। অন্য দিকে, জামাইকে উপহার দেওয়ার জন্য শ্বেতার মা তৈরি রেখেছেন বেশ কিছু শার্ট এবং টি-শার্ট। বিয়ের প্রথম বছরের জামাইষষ্ঠী বলে শ্বেতার পরিবারে তরফে শ্বশুরবাড়ির সকলকেই আলাদা করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সকলের উপস্থিতিতে দুই রবিবার দিনটি খাওয়াদাওয়া এবং আনন্দ ভাগ করেই জামাইষষ্ঠী উদ্‌যাপন করতে আগ্রহী।

উল্লেখ্য, গত বছরেও জামাইষষ্ঠীর দিনে রুবেলকে আপ্যায়ন করে খাইয়েছিলেন শ্বেতার মা। তখনও অবশ্য তাঁদের বিয়ের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসেনি। তবে এ বার বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠীকে কেন্দ্র করে শ্বেতা যে উচ্ছ্বসিত, তা স্পষ্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement