অনেকই জানেন না, আসলে ঘাম থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় না। ত্বকের উপরে থাকা ব্যাকটেরিয়াই এর আসল কারণ। ঘামের অ্যাসিডের সঙ্গে তাদের বিক্রিয়ার ফলেই দেহে দুর্গন্ধ হয়।
মহিলাদের থেকেও পুরুষদের গায়ে বেশি দুর্গন্ধ হয়। কারণ, পুরুষদেরা সাধারণত মহিলাদের থেকে বেশি ঘামেন।
ওজন বেশি হলে, নিয়মিত স্পাইসি ফুড খাওয়ার অভ্যস্ত হলে বা মদ্যপান করলেও ঘামের সমস্যা বাড়তে পারে।
দেহে নিয়মিত দুর্গন্ধ হলে সাবধান হন। অনেকেই ব্লাড সুগার লেভেল পরীক্ষা করান না। দেহে শর্করার মাত্রা বাড়লেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
কিডনি বা লিভারের সমস্যা থাকলেও গায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। দেহের বর্জ্য পদার্থ বার করে দিতে মুখ্য ভূমিকা নেয় কিডনি ও লিভার। কিডনি ও লিভার ঠিক মতো কাজ না করলে রক্তে ও পরিপাক যন্ত্রে টক্সিন জমতে থাকে। যার থেকে দেহে দুর্গন্ধ হয়।
দেহের দুর্গন্ধ মানেই যে আপনি কোনও রোগে ভুগছেন এমনটা সব সময় সঠিক নয়। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে দেহের দুর্গন্ধ এড়াবেন? আপনার বগল সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং শুকনো রাখুন। দেহে ঘাম জমলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে।
জিমে ওয়ার্কআউট করলে ঘামে ভিজে জবজবে হবেনই। জিম করেই আপনার পোশাক বদল করুন।
ডায়েটে সামান্য রদবদল করুন। বেশি ভাজাভুজি বা তেল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। তার বদলে ডায়েটে রাখুন ফল ও শাক-সব্জি।