সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ মানুষই তাঁর কর্মজীবন নিয়ে বিরক্ত। একবার ভাবুন তো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৮-১০ ঘণ্টাই যদি বিরক্তিতে কেটে যায়! কিন্তু সত্যি অফিসই আপনার বিরক্তির কারণ তো? নাকি অন্য কোনও কারণে জীবনটা একঘেঁয়ে লাগছে আর তা বুঝে উঠতে না পেরে অহেতুক অফিসকে দোষ দিচ্ছেন। বিষয়টা এরকম নয় তো!
এটা বোঝার একটা সহজ উপায় অবশ্য আছে। একটা কুইজ খেলুন আর বুঝে নিন আসল কালপ্রিট আসলে অফিস কি না। যা যা উত্তর আপনি দেবেন, নিজেই ভেবে দেখুন, তার মধ্যে কতগুলো পজিটিভ এবং কতগুলো নেগেটিভ চিন্তা আসছে আপনার মাথায়। বাকিটা আপনি নিজেই বুঝে যাবেন।
অফিসে সারা দিন কাজের মধ্যে কোন ৩০ মিনিট আপনার কাছে সবচেয়ে পছন্দের? ভেবে দেখুন তো এমন কোনও ৩০ মিনিট রয়েছে, যে সময়টা আপনি উপভোগ করে থাকেন। যেমন লাঞ্চ ব্রেক, বিকেল ৪টেয় ক্যান্টিনের ফ্রি সিঙ্গারা/চা, সকালের বসের সঙ্গে মিটিং বা অন্য কোনও সময়?
অফিস হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নিশ্চয় রয়েছে। আর সেই গ্রুপের একজন সদস্য হওয়ার জন্য আপনি কেমন অনুভব করেন? আপনার কাছে কি এটা খুব ভাল একটা উদ্যোগ? নাকি সারাদিন হোয়াটসঅ্যাপের চোটে বিরক্ত হয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ‘মিউট’ করে রাখেন, নাকি অফিসের বাইরে অফিস হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটাকে ব্যক্তিগত জীবনে বোঝা বলে মনে করেন?
আচ্ছা একটু ভেবে দেখুন তো অফিসের পর বস যদি নৈশভোজের ব্যবস্থা করেন, তাহলে প্রথমেই আপনার প্রতিক্রিয়া কী হবে? বসের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটানোর একটা সুযোগ বলে মনে হবে নাকি কী ভাবে এর থেকে রেহাই মিলবে তার পরিকল্পনা করতে শুরু করবেন? আবার এটাও হতে পারে, ফ্রি-তে ভালমন্দ খাবারের কথা ভেবে তখনই জিভে জল চলে এল!
সপ্তাহের পাঁচটা খাটনির দিনের পর রাতে ঘুমটা বেশ ভাল হল। কিন্তু পরদিন ছুটির সকালের পরিকল্পনা কী? যত ক্ষণ না বসের ফোন আসে ঘুমবেন, নাকি সপ্তাহান্তে অফিসের কাজটা একটু গুছিয়ে রাখবেন? এই বুঝি বসের ফোন এল! এই আতঙ্কের কারণে সকালের ঘুমটাও ঠিক মতো হল না, এরকম নয় তো?
অফিসে গসিপ করতে কেমন লাগে? এতে কি কাজে এনার্জি ফিরে পান?
অফিসে কি মন দিয়ে কাজ করেন? ভাল কাজ করে প্রশংসা পেতে চান আর তার জন্য কি সারা বছর ধরেই প্রাণপন খাটেন? নাকি ‘হচ্ছে হবে’ মনোভাবেই কাটে সারা বছর?