কর্ডলেস ইলেকট্রিক কেটলি কিনুন

শীতকাল মানেই যখন-তখন গরম জল চাই। সে চা-কফির জন্য হতে পারে, আবার কনকনে ঠান্ডায় ইষদুষ্ণ জলে হাত-মুখ ধোওয়ার জন্য হতে পারে। অল্প একটু গরম জলের জন্য উনুন জ্বালার দরকার কী? একটা ইলেকট্রিক কেটলি কিনে নিন। যেটা নিয়ে বেড়াতে গেলে যখন ইচ্ছা গরম জল করে টি-ব্যাগ চুবিয়ে চা বানিয়ে নিতে পারবেন। শীতে গরম জল কী কী কাজে লাগে, তা নিয়ে বেশি শব্দ খরচ না করে ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে দু-চার কথা বলি—শীতকাল মানেই যখন-তখন গরম জল চাই। সে চা-কফির জন্য হতে পারে, আবার কনকনে ঠান্ডায় ইষদুষ্ণ জলে হাত-মুখ ধোওয়ার জন্য হতে পারে। অল্প একটু গরম জলের জন্য উনুন জ্বালার দরকার কী? একটা ইলেকট্রিক কেটলি কিনে নিন। যেটা নিয়ে বেড়াতে গেলে যখন ইচ্ছা গরম জল করে টি-ব্যাগ চুবিয়ে চা বানিয়ে নিতে পারবেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:২৫
Share:

আমাদের দেশে এর চল খুব বেশি দিনের না হলেও ঠান্ডা দেশে বহু পুরনো। সেই ১৮৯৩ সালে এর আবিষ্কার ইংল্যান্ডে। তখন তাপ উৎপাদক অংশটি জলে চোবানো যেত না। কেটলির তলায় একটা চেম্বার গরম করে কাজ হত। ১৯২২ সালে তাপ উৎপাদক অংশ ডুবিয়ে জল গরম করার প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়ে গেল। আর ১৯৫৫ সালে থার্মোস্ট্যাটের সাহায্যে অটোমেটিক কাট-অফ করার পদ্ধতিও চলে এল যখন, তুমুল জনপ্রিয় হয়ে গেল ইলেকট্রিক কেটলি। এখন বাজারে নানা কোম্পানির ইলেকট্রিক কেটলি আছে। ব্র্যান্ডেড সব ক’টি ভাল। তবু দেখে নেবেন—

Advertisement

১। প্রথমেই, কত তাড়াতাড়ি জল গরম করা হয়। বেশির ভাগ ব্র্যান্ড পাঁচ মিনিটের কম সময়ে জল গরমের প্রতিশ্রুতি দেয়। ওয়াট যত বেশি, তত তাড়াতাড়ি গরম। ১০০০-১৫০০ ওয়াট হলে যথেষ্ট।
২। দেখবেন কতটা জল ধরে। এক থেকে দেড় লিটারের মধ্যে হয় সাধারণত। বেশি বড় কাজে লাগে না। কিছু কেটলিতে জলের পরিমাণ দাগ কেটে মাপা থাকে। মাপটা অনেক সময় কাজে লাগে। থাকলে ভাল।
৩। তারযুক্ত কেটলির চেয়ে কর্ডলেস ভাল। জল গরম হওয়ার পর কেটলি নিয়ে যাওয়া যায়। যেগুলো বিদ্যুৎ বন্ধ করার পরে সুইচ বোর্ডের কাছ থেকে সরানো যায় না, সেগুলো নিয়ে ভারী মুশকিলে পড়তে হয়।
৪। কেটলি স্টেইনলেস স্টিলের হলে ভাল। অন্তত ভেতরটা। ভেতরটাও প্লাস্টিকের হলে পরের দিকে জলে গন্ধ পাওয়া যায়। হাতল যেন ভাল প্লাস্টিক বা ফাইবারের হয়। ধরতে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা লাগবে নয়তো।
৫। জল ফুটন্ত অবস্থায় পৌঁছলে অটোমেটিক পাওয়ার-কাট খুব জরুরি। ভুলো মন যাঁদের, তাঁদের জন্য অতি অবশ্যই এটা দরকার।
৬। স্কেল ফিল্টার, সেফটি লক, স্লিপ মোড, প্রিসেট টেম্পারেচর সেটিং, স্টে ওয়ার্ম—এগুলো থাকলে ভাল। তবে যত ভাল, দাম তত বেশি। নিজের পকেটের কথাটাও তো মাথায় রাখতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন