বিলটং: দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবোয়ের এই বিফ ডিশে রয়েছে অত্যন্ত কম মশলা। বিফ ছাড়াও অস্ট্রিচের মাংস দিয়েও বিলটং রান্না করা হয়। এক প্লেটে ক্যালোরি মাত্র ১২৬।
শেভিচে: লাতিন আমেরিকার বেশির ভাগ ডিশেই বেশ ভাল রকমের ক্যালোরি থাকে। তবে লেবুর রস আর লঙ্কা মাখানো কাঁচা মাছ বা সি-ফুড দিয়ে তৈরি শেভিচেতে রয়েছে খুবই কম ক্যালোরি। এক প্লেটে মাত্র ১৭৫ ক্যালোরি। সাধারণত কর্ন তোরতিয়ার সঙ্গে সার্ভ করা এই ডিশটি।
ডিম সাম: চাইনিজের খাবারের দিকে বাঙালি তথা ভারতীয়দের ঝোঁক বরাবরই বেশি। ক্যালোরি কম হলেও নানা ধরনের ডিপিং সসের সঙ্গে স্টিমড বা ফ্রায়েড ডিম সামের স্বাদে কিন্তু ঘাটতি হয় না। কুচো চিংড়ির চারটি ডিম সামে রয়েছে ১৬০ ক্যালোরি।
বরর্স্ট: রাশিয়া বা ইউক্রেনের এই ডিশটি এ দেশে খুব প্রচলিত না হলেও বিদেশে বেড়াতে গিয়ে অনেকেই এটি চেখে দেখেছেন। বিটের সঙ্গে মাংস মিশিয়ে তাতে হার্ব আর ক্রিম দিয়ে তৈরি হয় এই স্যুপ। একটি ভরপুর বোলে রয়েছে ২০৬ ক্যালোরি।
গাসপাচো: কন্টিনেন্টাল খেতে ভালবাসেন এমন খাদ্যরসিকেরা বহু দিন আগেই স্পেনের খাবার পায়েয়া খেয়েছেন। তবে কখনও গাসপাচো চেখে দেখেছেন কি? উত্তরটা ‘হ্যাঁ’ হলে তাঁরাই বলতে পারবেন এর অতুলনীয় স্বাদের কথা। বেল পেপার, টোম্যাটো আর রসুনের এই স্যুপ যেমন হেলদি তেমনই স্বাদু। এতে রয়েছে ১১৩ ক্যালোরি।
তাজিন: কর্ন-শেপড পাত্র তাজিনে রান্না করা হয় বলে এই ডিশেরও ওই নাম রাখা হয়েছে। মাংস, শাক-সব্জি, নানা রকমের ফল আর মশলা মিশিয়ে তৈরি হয় মরক্কোর এই ডিশটি। ক্যালোরি সামান্য বেশি হলেও ফ্যাট কম হওয়ায় এটি খুবই হেলদি।
হারিরা: উত্তর আফ্রিকার আলজিরিয়ায় হারিরা খুবই জনপ্রিয় একটি ডিশ। রমজানের সময় ইফতার উপলক্ষে সাধারণত এটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। নানা রকমের ডাল, টোম্যাটো, কাবুলি ছোলার সঙ্গে পেঁয়াজ ও হার্বস মিশিয়ে তৈরি হয় এই স্যুপ। এক বোলে রয়েছে ২৪৫ ক্যালোরি।
চিকেন ফু: নুডলসের সঙ্গে হার্ব মিশিয়ে তাতে বিফ বা মুরগির মাংস ছড়িয়ে তৈরি হয় এই স্যুপ। চিকেন ফু ভিয়েতনামের নিজস্ব ডিশ হলেও গোটা বিশ্বেই এর সুনাম ছড়িয়েছে। এক বোলে রয়েছে ২২৪ ক্যালোরি।