এয়ার ফ্রায়ারে কুলচা, কেমন হবে সে রান্না? ছবি: ইউটিউব।
নামমাত্র তেল দিয়ে মুচমুচে আলুভাজা, চিপ্স, কবাব, বড়া— সবই বানানো যায় এয়ার ফ্রায়ারে। তবে এ বার ভাজাভুজি নয়— মশালা কুলচা তৈরির পদ্ধতি শেখালেন রন্ধনশিল্পী সঞ্জীব কপূর।
অল্প তেলে রান্নার সুবিধার জন্য এয়ার ফ্রায়ারের কদর বাড়ছে। গোটা মুরগির তন্দুর করা থেকে রকমারি কবাব, ভাজাভুজি এই যন্ত্রে করার সহজ। এয়ার ফ্রায়ারের ভিতর থাকে একটি হাই স্পিড ফ্যান, যা যন্ত্রটির ভিতরে গরম হওয়া চলাচল করতে সাহায্য করে। সেই তাপেই খাবার তৈরি হয়ে যায়। খাবারের উপর মুচমুচে আবরণ তৈরি হয়ে যায় কোনও রকম তেল ছাড়াই। ১৭৫-৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় রান্না হয় এয়ার ফ্রায়ারে।
তবে এই যন্ত্রে কুলচাও হতে পারে, তা বোধ হয় অনেকেরই জানা ছিল না। তা কী ভাবে বানানো যায় শিখিয়েছেন সঞ্জীব। রান্নাটির জন্য প্রথমে পরিমাণ মতো ময়দা নিতে হবে। তাতে যোগ করুন স্বাদ মতো নুন, চিনি, শুকনো ইস্ট, ঈষদুষ্ণ দুধ। সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে ময়দা মাখতে হবে একটু নরম করেই। মাখার পর সেটি এক ঘণ্টা ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
আলু-পেঁয়াজ দিয়ে কুলচা বানাতে পারেন এয়ার ফ্রায়ারে। ছবি: ইউটিউব।
বানাতে হবে কুলচার পুরও। পেঁয়াজ-আলু দিয়েও পুর হতে পারে। কড়াইয়ে সাদা তেল নিয়ে গোটা ধনে, জিরে ফোড়ন দিন। পেঁয়াজকুচি, কাঁচালঙ্কা যোগ করুন। স্বাদ মতো নুন দিয়ে ভাজা ভাজা করে দিন। দিয়ে দিন লঙ্কার গুঁড়ো এবং গরমমশলা। যোগ করুন সেদ্ধ করা আলু। সমস্ত উপকরণ নাড়াচাড়া করে যোগ করুন ধনেপাতাকুচি।
ময়দার লেচি কেটে গোল বলের মতো করে আঙুলের সাহায্যে বাটির আকৃতি করে নিন। পুর ভরা আলুর পরোটার মতো, পুর ভরে ছোট গোল করে বেলে নিন। উপরে ছড়িয়ে দিন কালো জিরে। সাধারণত কুলচার আকার গোল হয় না বা আকারে বেশ বড় হয়। তবে এয়ার ফ্রায়ারে বানাতে হলে সাইজে ছোট, গোলও করতে পারেন। এতে একবারে চারটি করে কুলচা বানানো যাবে।
এয়ার ফ্রায়ার ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেখে ৭ মিনিট সময় নির্দিষ্ট করুন। বেলে নেওয়া কুলচায় তেল ব্রাশ করে ভিতরে ভরে দিন। ৭ মিনিটে এক পিঠ হয়ে যাবে। তার পর কুলচা উল্টে দিয়ে আরও ৩ মিনিট হতে দিন। এই কুলচা একটু মুচমুচে হবে। স্বাদেও একটু আলাদা হবে, তবে খেতে কিন্তু যথেষ্ট ভাল হবে।