Fruits

মরসুমি ফল না এক্সোটিক ফ্রুট কোনটা খেতে হবে? কেন?

স্থানীয় ফল খাবেন না এক্সোটিক ফ্রুট বা আমদানিকৃত ফল?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ১২:৩৮
Share:

মরসুমি ফল পাতে রাখতেই হবে রোজ। ছবি: শাটারস্টক থেকে নেওয়া

করোনা আবহ। বাড়াতেই হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই প্রতি দিনের ডায়েটে রাখতেই হবে ফল। কিন্তু কী ধরনের ফল খাবেন? কেন? কোন ফল স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, কোন ফল রোগের ঝুঁকি কমায়?

Advertisement

শুধুমাত্র পুষ্টিগুণ নয়। আরও নানা কারণে স্থানীয় ফল বেশি খেতে বলছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা। তবে শুধুমাত্র পুষ্টিগুণ নয়, আরও নানা কারণে অ্যাভোকাডো, কিউই, ব্লু বেরি, রাস্প বেরি, ড্রাগন ফ্রুটের থেকে আম, কলা, পেয়ারাকেই এগিয়ে রাখছেন তাঁরা।

স্থানীয় ফলের ক্ষেত্রে ফলনের কিছু দিনের মধ্যেই তা বাজারে চলে আসে। এমনকি, বাড়ির গাছ হলে সে ক্ষেত্রে ফল পাকলেই তা খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। মরসুমি ফলের ক্ষেত্রে উৎসেচকের পরিমাণ বেশি থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। স্থানীয় এলাকার মাটি, জল, বাতাসেই বেড়ে ওঠে এই ফলের গাছ। তাই স্থানীয় সংক্রমণ বা মরসুমি সংক্রমণের ক্ষেত্রে এদের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাও বেশি। কিন্তু বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ফল স্বাদে অনেক সময় অতুলনীয় হলেও এই ফল আমদানি করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই সতেজ দেখানোর জন্য মেশানো হয় প্রিজারভেটিভ। ভেঙে যায় উৎসেচক, কমে পুষ্টিগুণ।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনা কালে বাড়ছে উদ্বেগ, মন ভাল রাখতে জোর দিন এ সব খাবারে

বিদেশি ফলের তুলনায় মরসুমি বা স্থানীয় ফলের দাম বাজারে তুলনামূলক ভাবে কম থাকে। কারণ এ ক্ষেত্রে পরিবহণের খরচ কম থাকে। এ ছাড়াও স্থানীয় ফল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও একটা প্রভাব ফেলে। টাটকা তো বটেই, এ জাতীয় ফলের ক্ষেত্রে স্বাদও অনেক বেশি থাকে। স্থানীয় ফলের ক্ষেত্রে মরসুমের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। যেমন গরমকালে আম-জাম-কাঁঠাল-লিচু-তরমুজ-বেদানা, বর্ষাকালে আনারস-মুসাম্বি, শীতকালে আঙুর-আপেল-কমলা লেবু। তাই নানারকম ফল খাওয়ার সুযোগও হয়। ফলে একঘেঁয়েমিও কমে, এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদ সোমা চক্রবর্তী। আমদানিকৃত ফল বা এক্সোটিক ফ্রুটের ক্ষেত্রে ফল পাকার অনেক আগেই গাছ থেকে পেড়ে নেওয়া হয়। পরিবহণের খরচ জুড়ে যাওয়ায় ফলের দামও বেশি হয়। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার পরও ফল সতেজ রাখার জন্য রাসায়নিক স্প্রে করা অনেক ক্ষেত্রেই। তাই মরসুমে মেলা আনারসকেই কি‌উই কিংবা রাস্প বেরি থেকে এগিয়ে রাখছেন পুষ্টিবিদরা। যদিও স্বাদ বদলের জন্য মাঝে মাঝে এক্সোটিক ফ্রুট বা আমদানিকৃত ফল খাওয়া যেতে পারে, এমনটাও উল্লেখ করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: করোনা ভাইরাস কি শক্তি হারাচ্ছে? জল্পনায় জল ঢাললেন চিকিৎসকরা

কিছু স্থানীয় ফল নির্দিষ্ট কোনও এলাকায়, নির্দিষ্ট মরসুমে বেশি পাওয়া যায়। যেমন সরস্বতী পুজোর সময় টোপা কুল, বোম্বাই কুল-সহ নানা ধরনের কুলের দেখা মেলে বাজারে। অল্প সময়ের জন্য নির্দিষ্ট মরসুমে যে ফল পাওয়া যায়, তা ডায়েটে অবশ্যই রাখতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। তবে ডায়াবিটিস ও কিডনির অসুখ বা অন্য কোনও সমস্যা থাকলে কোন ফল খাবেন আর কোনটা খাবেন না, তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। কিছু ফল যেমন খেজুর, নোনা, আতা, বেল, আমলকি, কাজু বাদাম, নারকেল এই ফলগুলিও প্রোটিন ও খনিজ সমৃদ্ধ।

গাছে ফলন এবং ফল খাওয়া এ দুইয়ের মধ্যে সময় যত কম, পুষ্টিগুণ তত বেশি। এ কথা মাথায় রেখেই রোজের ডায়েটে ফল খেতে বলছেন পুষ্টিবিদ সোমা চক্রবর্তী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন