স্ক্রিন সাইজ: নিজের কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপের স্ক্রিন সাইজ বেছে নিন। অফিসের কাজের জন্য<br> প্রায়শই ট্র্যাভেল করতে হলে ১২ থেকে ১৪ ইঞ্চির ল্যাপটপ কিনুন। তবে অফিসের চার দেওয়ালের মধ্যে<br> আপনার কাজ মিটে গেলে বাছতে পারেন একটু বড়সড় ১৫.৬ ইঞ্চির ল্যাপটপ।
ডিজাইন: ডিট্যাচেবল ডিসপ্লে-র ল্যাপটপ কিনবেন না চিরাচরিত ডিজাইনের তা আগে থেকেই ঠিক করে নিন।<br> অফিসের কাজে বাইরে অনেক ক্ষণ কাটাতে হলে ডিট্যাচেবল ডিসপ্লে-র ল্যাপটপ বেশি কার্যকরী হবে।<br> এতে ল্যাপটপ নিমেষে বদলে যাবে ট্যাবলেটে। ফলে সহজেই তা হাতে করে ঘুরতে পারবেন।<br> তবে সারা ক্ষণ অফিসের ডেস্কে বা পড়ার টেবলে বসে কাটালে নন-ডিট্যাচেবল ডিসপ্লে-র ল্যাপটপ কেনাই ভাল।
পোর্ট: পুরনো ডিজাইনের ল্যাপটপে ভিজিএ-সহ একাধিক অজিও জ্যাক গোঁজার পোর্ট থাকত।<br> আজকালকার ল্যাপটপে পোর্টের জায়গা কমে গিয়েছে। এতে জুড়েছে ইউএসবি, এইচডিএমআই<br> এবং কার্ড রিডার স্লট। সামান্য খরচ করে কিনতে পারেন আল্ট্রা থিন ল্যাপটপ। যাতে রয়েছে<br> ইউএসবি টাইপ টাইপ-সি পোর্ট। এতে সব ধরনের জ্যাক লাগিয়ে কাজ করা যাবে।<br> ফলে ল্যাপটপ কেনার আগে বেছে নিন নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোর্ট।
হার্ড ড্রাইভ। প্রায় প্রতি দিনই বাজারে নতুন মডেলের ল্যাপটপ আসছে। আর হার্ড ড্রাইভের<br> সাইজ ক্রমশই বাড়ছে। তবে এ ধরনের ল্যাপটপ বেশ ভারী হয়। তাই কিনতে পারেন<br> ফ্ল্যাশ ড্রাইভ (এসএসডি)-সহ ল্যাপটপ। দ্রুতগতি ছাড়াও এ ধরনের ল্যাপটপ বেশ হাল্কা হয়।<br> তবে এ রকম ল্যাপটপের দামও বেশি সে কথা খেয়াল রাখবেন।
টাচস্ক্রিন: মোবাইলের মতোই ল্যাপটপেও টাচস্ক্রিনের সুবিধা রয়েছে। উইনডোজ ১০-এ এমন<br> অনেক অ্যাপ পাওয়া যায় যেগুলি কেবলমাত্র টাচস্ক্রিন ল্যাপটপের কথা ভেবেই বানানো হয়েছে।<br> তবে দামের কথা মাথায় রেখে তবেই এ রকম ল্যাপটপ কিনুন।
ব্যাটারি: ল্যাপটপে কী ধরনের কাজ করবেন তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তা কিনুন। এক বার চাজ দিয়েই<br> ৫-৬ ঘণ্টা কাজ চালাতে পারেন এমন ল্যাপটপ দামে কম। তবে সারা ক্ষণ ল্যাপটপে বসে কাজ করতে হলে একটু বেশি খরচ করুন। সে ক্ষেত্রে এক চার্জেই ৮-১০ ঘণ্টা একনাগাড়ে কাজ করা যাবে।
গ্রাফিক্স কার্ড: লেখালেখি বা সাধারণ মাল্টিমিডিয়ার কাজ করার হলে ইন্টিগ্রেটেড গ্রাফিক্স কার্ড<br> ব্যবহার করুন। আর ভিডিও গেম খেলা বা এডিটিং-এর মতো কাজ থাকলে ইন্টারনাল<br> ছাড়াও একটি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স কাড-সহ ল্যাপটপ কিনুন।
ল্যাপটপের সঙ্গে সব সময়ই অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) মেলে না। এতে কয়েক হাজার টাকা বাঁচলেও<br> ওএস-সহ ল্যাপটপই কিনুন। উইনডোজের মতো ওএস-এ নিয়মিত আপডেট হওয়ায় তাতে ল্যাপটপের<br> সিকিউরিটি বেশি। তবে বাজেট কম থাকলে লিনাক্স বা অন্য কোনও ওপেন সোর্স ওএস-সহ ল্যাপটপ কিনতে পারেন।