তাড়াহুড়ো করে অফিস যেতে হবে। গাড়িতে উঠেছেন। হঠাৎই একটা কালো বেড়াল রাস্তা পার হল। আর আপনার চালক গাড়ি থামিয়ে দিলেন। কুসংস্কার বলে তা উড়িয়ে দিতেই পারেন। তবে শুধুমাত্র কালো বেড়াল নয়, এমন অনেক কুসংস্কার রয়েছে যা আজও অনেকেই মনে-প্রাণে মেনে চলেন। যদিও তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি একেবারেই নেই। কী সে সমস্ত কুসংস্কার, তা জেনে নিন।
ডিনারের পর মুখে দুর্গন্ধ? ভাবছেন, একটা চিউয়িং গাম চিবিয়ে ব্যাপারটা সামলে নেবেন? নিতেই পারেন, তবে আপনি যদি তুরস্ক বা হাঙ্গেরিতে থাকেন, তবে এমনটা করা বোধহয় সহজ হবে না। বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, ওই দেশের অনেকে মনে করেন, রাতের বেলা চিউয়িং গাম চিবোনো অশুভ। এটা যেন মৃতদেহের থেকে মাংস চিবিয়ে খাওয়া, এমনটাই বিশ্বাস তাঁদের।
রাস্তা পার হচ্ছেন, হঠাৎ একটা কালো বেড়াল সামনে দিয়ে চলে গেল। সঙ্গে সঙ্গে ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে দিলেন। এমন অভিজ্ঞতা কম-বেশি আমাদের সকলেরই হয়েছে। মধ্যযুগীয় বিশ্বাস ছিল, কালো বেড়াল মৃত্যু ডেকে আনে। সেই ভয়ে বহু কালো বেড়াল মেরেও ফেলা হয়েছিল। এখনও অনেকের মতে, কালো বেড়াল রাস্তা পার হলে তা দুর্ভাগ্যকে টেনে আনবে। যদিও এ ধারনা যে ভিত্তিহীন।
দুনিয়ার বহু দেশেই বাড়ির ভিতরে ছাতা খোলাকে অশুভ বলে মনে করা হয়। এমনটা করলে নাকি তা দুর্ভাগ্য বয়ে আনবে। এই কুসংস্কারের উৎস রয়েছে মিশরে। আসলে, প্রাচীন মিশরে রোদ থেকে বাঁচতে অভিজাতদের মাথায় ছাতা ধরা হত। কিন্তু সেই ছাতাই যদি বাড়ির ভিতরে খোলা হয়, তাতে যেন সূর্যদেবতা অসন্তুষ্ট হবেন— এমনটাই মনে করতেন অনেকে।
ফুল দিয়ে স্বাগত জানানোর প্রথা দুনিয়ার আর সব দেশের মতো রাশিয়াতেও রয়েছে। তবে কোনও রাশিয়ান মহিলাকে আবার ১২টা গোলাপ রয়েছে এমন ফুলের তোড়া দিয়ে বসবেন না যেন! বরং ১৩টা গোলাপ রয়েছে এমন ফুলের তোড়া উপহার দিন। কারণ, ফুলের তোড়ায় বিজোড় সংখ্যা রাখাটাই সে দেশে শুভ বলে মনে করা হয়। জোড় সংখ্যার ফুল রাখাটা মৃত্যুর প্রতীক বলে মনে করা হয়। আসলে, সে দেশে শবদেহে দেওয়া ফুলের তোড়াতেই জোড় সংখ্যার ফুল থাকে।
রাশিয়ার মতো বহু দেশেই বিয়ের দিনে বৃষ্টি হওয়াকে শুভ বলে মনে করা হয়। তা নাকি নবদম্পতির জীবনে সৌভাগ্য নিয়ে আসে। এমনকী, বিয়ের দিনে বৃষ্টি হওয়াটাকে সুখ-শান্তি ও ধনসম্পত্তির প্রতীক বলেই মনে করা হয়। এ ছাড়া, অতীতের দুঃখের স্মৃতি ধুয়েমুছে তা যে নতুন জীবন শুরু করতেও সাহায্য করে।