lung

ধূমপায়ী না হলেও হতে পারে ফুসফুসের ক্যানসার, এ সব উপায়ে দূরে রাখুন এই মারণ রোগ

ধূমপান ত্যাগ তো বটেই, এ ছাড়াও কিছু খুঁটিনাটি দিকে নজর দিলে তবেই ঠেকানো যায় ফুসফুসের ক্যানসার। কী কী উপায়ে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব জানেন?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ১৫:৪৬
Share:

ধূমপান করেন না এমন মানুষও ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমাদের দেশে যে সব ক্যানসারের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি, তার মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসার অন্যতম। অনেকেরই ধারণা মূলত ধূমপায়ীদেরই ফুসফুসে ক্যানসার হয় বলে ধারণা রয়েছে আমাদের। ধূমপান এই ধরনের ক্যানসারের অন্যতম কারণ হলেও ধূমপান করেন না এমন মানুষও কিন্তু এমন রোগে আক্রান্ত হন।

Advertisement

ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকারের মতে, ‘‘সাধারণত ফুসফুসের ক্যানসার ধরাই পড়ে অনেকটা দেরিতে। আর আমাদের দেশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষ যে সব ক্যানসারে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন, ফুসফুসের ক্যানসার তার মধ্যে অন্যতম। যে সব কারণে এই ক্যানসার দানা বাঁধতে পারে, তা জেনে সে সব থেকে সতর্ক হতে না পারলে তা বিপদ ডেকে আনবে।’’

ধূমপান ত্যাগ তো বটেই, এ ছাড়াও কিছু খুঁটিনাটি দিকে নজর দিতেই হয়। কী কী উপায়ে ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব জানেন?

Advertisement

আরও পড়ুন: ডাবল চিন থেকে গালে-ঘাড়ে ভারী মেদ? এই বিশেষ ক’টা উপায়ে ঝরিয়ে ফেলুন তা

ধূমপান ডেকে আনে ফুসফুসের ক্যানসার।

চিকিৎসকদের মতে, ধূমপান বা তামাকজাত যে কোনও নেশা ছাড়তে হবে আজই। এই মারণরোগের বীজ রয়েছে মূলত তামাকের ধোঁয়ায় থাকা ক্ষতিকারক নিকোটিন-সহ অন্যান্য উপাদানে। সরকারি তরফেও এই সমক্রান্ত নানা প্রচার চলে। চিকিৎসকদের মতে, বিড়ি বা সিগারেটের একটানে শরীরে যতটা নিকোটিন পৌঁছয়, তার বিষমাত্রার হারও অত্যন্ত বেশি। অনেকেই সিগারেটে পুরে খান। ফুসফুসের ক্যানসার ঠেকাতে এই অভ্যাস ত্যাগ অবশ্যকর্তব্য। নিজে ধূমপান না করলেও তামাকের ধোঁয়ার চারপাশেই থাকেন আপনি? তা হলে সেই ভুল সংশোধন করে নিন আজই। মনে রাখবেন, এই অসুখ দমাতে যে কোনও উপায়েই ফুসফুসে তামাকের ধোঁয়া আসাকে প্রতিরোধ করতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রায়ই গলা জ্বলে, চোঁয়া ঢেকুর ওঠে? এ সব উপায়ে ওষুধ ছাড়াই আয়ত্তে আনুন এই সমস্যা

দূষণের হাত ধরেও শরীরে হানা দেয় এই মারণ অসুখ।

​​ঘরে রেডন গ্যাসের মাত্রা পরীক্ষা করান বছরে দু’বার। অক্সিজেনের সঙ্গে এই গন্ধহীন রেডন গ্যাস মিশে ফুসফুসে প্রবেশ করলে তা এই রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় অনেকটা। বিশেষ করে কলকারখানা বা অতিরিক্ত যানচলাচলযুক্ত জায়গায় বাস করলে এই গ্যাসের মাত্রা পরীক্ষা করানো খুবই দরকার। যে সব জায়গায় দূষণবহুল, যানবাহনের ধোঁয়া বা কলকারখানার ধোঁয়া বেশি— সে সব জায়গায় গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন। যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়ায় থাকা নানা ক্ষতিকারক মৌল— অ্যাসবেসটস, নিকেল, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক এই ধরনের অসুখের জন্য দায়ী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement