Weight loss

ওজন কমাতে খেতে পারেন বিকেলের হেলদি চাট

দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়? নিউট্রিশনিস্টরা জানাচ্ছেন, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চে ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখলেও বিকেলের দিকেই আমরা মূলত অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকি। ভাজাভুজি, ফুচকা, চাট, ভেলপুরি এই সময় আমাদের টানে?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৭ ১৪:১৮
Share:

জলে ভেজানো অঙ্কুরিত মুগ ডাল চাট বানানোর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপাদান।

দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়? নিউট্রিশনিস্টরা জানাচ্ছেন, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চে ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখলেও বিকেলের দিকেই আমরা মূলত অস্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝুঁকি। ভাজাভুজি, ফুচকা, চাট, ভেলপুরি এই সময় আমাদের টানে? সত্যিই কি ফুচকা, চাট, ভেলপুরি অস্বাস্থ্যকর? ডায়েটিশিয়ান ও চিকিত্সকদের মতে, এই সব খাবারের উপাদান পুষ্টিকর হলেও রাস্তাঘাটের ধুলোময়লা, হাইজিনের অভাবে শরীর খারাপ পারে এ সব খাবার থেকে। তা বলে চাট খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে না। এই সব চাটই স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে খেলে তা পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি অনেক ক্ষণ পেট ভরা রাখায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ওজন কমাতে ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনারের মাঝে চাই ‘হেলদি স্ন্যাকস’

জলে ভেজানো অঙ্কুরিত মুগ ডাল চাট বানানোর সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপাদান। ১০০ গ্রাম মুগ ডালের মধ্যে রয়েছে ২৫ গ্রাম প্রোটিন। কোলেস্টেরল একেবারেই না থাকা, পাশাপাশি উত্‌সেচক, ভিটামিন, মিনারেল, ক্লোরোফিলের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় মুগ ডালকে অন্যতম সুপারফুড বলে থাকেন ডায়েটিশিয়ানরা। কাঁচা মুগ ডালের সঙ্গে আলু সেদ্ধ, পেঁয়াজ, টোম্যাটো, লেবুর রস, মশলা দিয়ে যেমন সুস্বাদু স্ন্যাকস তৈরি হয়, তেমনই এই চাট পুষ্টিগুণে ভরপুর।

Advertisement

মুগ ডালের বদলে বানাতে পারেন কাবলি চানার চাট। এই চানার মধ্যেও থাকে প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট।

আবার যদি বাদাম খেতে ভালবাসেন তা হলে এই চাটই বানাতে পারেন চিনেবাদাম দিয়ে। প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ চিনেবাদাম। সেই চিনেবাদামকেই আরও পুষ্টিকর করে তুলবে টোম্যাটো, পেঁয়াজ, ধনেপাতা।

আরও পড়ুন: ওজন কমানোর ১০ স্বাস্থ্যকর মিড-মিল স্ন্যাকস

চাটের মতোই আর এক স্বাস্থ্যকর ইভনিং স্ন্যাকস দই বড়া। বিউলি ডাল দিয়ে তৈরি বড়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও ফাইবার। সেই সঙ্গেই প্রোবায়োটিকে পরিপূর্ণ দই পেট ঠান্ডা রাখতেও সাহায্য করে। তেঁতুল, গুড়, মশলার চাটনিও স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি। দই থাকার কারণ অন্যতম লো ক্যালোরি স্ন্যাকসও বটে। কেনা দই বড়া অনেক সময় ডিপ ফ্রাই করা হয়। বাড়িতে টাটকা তেলে ভাজা বড়া ও টাটকা দই দিয়ে বানিয়ে নিন দই বড়া।

তাই চাট খেতে ইচ্ছা হলে আর অপরাধ বোধে ভুগতে হবে না। বাড়িতেই বানিয়ে নিন আর তারিয়ে তারিয়ে খান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন