চুলের পরিচর্যায় আস্থা থাকুক ডিমের উপর। ছবি: শাটারস্টক।
খাবার পাতে ডিমের উপর আস্থা রাখেন অনেকেই। সেদ্ধ হোক বা পোচ, ভাজা, কিংবা হালের রেসিপিতে স্ক্র্যাম্বেল করে খাওয়া— ডিমের আদর বাঙালি ঘরে নতুন নয়। বিশেষ করে খুদে সদস্য থাকলে ডিমের ব্যবহার বাড়িতে বাড়ে। কিন্তু কেবল রান্নাবান্নার কাজেই ডিম কাজে লাগান? জানেন কি, চুল পরিচর্যার ক্ষেত্রেও একে কাজে লাগাতে পারেন অনায়াসে।
ডিমের সাদা অংশ থেকে কুসুম, সব রকম উপাদানই চুল পরিচর্যার নানা কাজে লাগে। কেবল কাঁচা ডিমের ব্যবহারই নয়, ডিমের সঙ্গে অন্য আরও উপাদান মিশিয়েও চুলে লাগাতে পারেন। রুক্ষ চুল থেকে টাকের সমস্যা সবেতই সমাধান হতে পারে ডিম।
জানেন কি, কোন কোন উপায়ে ডিম ব্যবহার করলে চুলের নানা উপকার পাবেন? দেখে নিন সে সব।
আরও পড়ুন: হঠাৎ অনিয়মে ওজন বেড়েছে? এ সব ক্ষেত্রে মেদ ঝরানোর নিয়ম জানেন?
রুক্ষ চুলের সমস্যা এড়াতে ডিম ও মেয়োনিজের শরণ নিন। দুটো ডিমের সঙ্গে ৩ চামচ মেয়োনিজ মিশিয়ে সারা চুলে মেখে রাখুন। শুকিয়ে এলে মৃদু কোনও শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে আবারও ধুয়ে নিন ভাল করে। সপ্তাহে বার চারেক এমন করতে পারলে রুক্ষতা দূর হবে সহজে। মাথার চুল কি তেলতেলে হয়ে আছে? বার বার শ্যাম্পু করেও আঠালো ও চটচটে ভাব যাচ্ছে না? তা হলে লেবুর রসের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ ভাল করে মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন চুলে। এ বার একটা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে দিন চুল। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার লাগিয়ে ধুয়ে নিন। সহজেই ফুরফুরে হবে চুল।
আরও পড়ুন: নামমাত্র খরচে ত্বকের সব রকম পরিচর্যায় কাজে দেয় ওটস, জানেন কী ভাবে?
দুটো ডিম, এক চামচ মধু ও এক চামচ দই ও একটি জবাফুলের কুঁড়ি ভাল করে ফেটিয়ে চুলে মেখে রাখুন মিনিট ২০। সপ্তাহে দু’দিন এই নিয়ম মেনে ভাল করে ধুয়ে নিন চুল। চুলের গোড়া ফেটে যাওয়ার সমস্যা এতে দ্রুত সরে। এ ছাড়া চুল পাতলা হওয়ার সমস্যাও কাটিয়ে দেয়। টাকের সমস্যাতেও বিশেষ ভাবে কাজে আসে এই প্যাক। ছুটির দিন একটু সময় করে চুলে ডিম, আমলকির রস ও দই মেখে আধ ঘণ্টা মতো রেখে দিন। সপ্তাহে এক দিন অন্তত এই নিয়ম মানলে চুল সার্বিক ভাবে ঝলমলে ও উজ্জ্বল হবে।