কেবলমাত্র বর্ষায় নয়, আজকাল মশার উপদ্রব কমবেশি সারা বছরই থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ঝড়বৃষ্টি হলেই মশার হানা শুরু হয়। তাই মশাবাহিত অসুখও সারা বছরই উত্যক্ত করে আমাদের। এর অন্যতম ডেঙ্গি। সময় মতো ঠিক চিকিৎসা না হলে এই রোগের প্রভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা কমে গেলে এই অসুখের শিকার হতে হয়। প্লেটলেট রক্তের একটি আবশ্যিক উপাদান। রক্তক্ষয় প্রতিরোধে ও রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করাই অনুচক্রিকার প্রধান কাজ। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও অণুচক্রিকা অন্যতম সাহায্যকারী। ডেঙ্গি হলে এর মাত্রা কমে যাওয়ায় মৃত্যুও কড়া নাড়তে পারে।
তাই মশার হাত থেকে নিজেকে বাঁচানো যেমন দরকার, তেমনই প্রয়োজন, কিছু ঘরোয়া উপায়ে অণুচক্রিকার সংখ্যাতে ভারসাম্য রক্ষা করা। এতে অসুখের বাড়াবাড়ি তো রুখে দেওয়া যাবেই, সঙ্গে প্রাণনাশের সম্ভাবনাও কমে আসবে অনেকটাই। জানেন, কী কী উপায়ে প্রাকৃতিক ভাবে বাড়াতে পারেন অণুচক্রিকার সংখ্যা?
আরও পড়ুন: ব্রেকফাস্টে এই সব খাবার খেলেই হু হু করে ঝরবে মেদ
লেবুর রস: টকজাতীয় ফল, বিশেষ করে আমলকি, লেবু এগুলি শরীরে ভিটামিন সি বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ও প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়াতে এই জাতীয় ফল খুবই কার্যকরী। তাই খাবার পাতে রাখুন এমন ফল।
পেঁপে পাতা: ডেঙ্গি হলে পেঁপে পাতা থেকে তৈরি ওষুধই চিকিৎসকদের অন্যতম হাতিয়ার। মালয়েশিয়ার ‘এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স’-এর গবেষকরা প্লেটলেটের সংখ্যাবৃদ্ধিতে পেঁপে পাতার ভূমিকা নিয়ে ইতিবাচক মতামত দেন। পেঁপে পাতা ভাল করে পরিষ্কার করে সামান্য নুন ও লেবুর রস সহযোগে খেতে পারেন, এতে অণুচক্রিকা তৈরি হবে সহজেই।
আরও পড়ুন: মোম দিয়েই রূপটান, কী ভাবে জানেন?
হুইটগ্রাস: আমেরিকান হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের দাবি অনুযায়ী, হুইটগ্রাসের আণবিক গঠনের সঙ্গে হিমোগ্লোবিন আণবিকগঠনে বেশ মিল আছে। এতে ক্লোরোফিলের আধিক্যও বেশি। তাই হুইটগ্রাসের রসও অণুচক্রিকা বাড়াতে সাহায্য করবে।
কুমড়োর বীজ: কুমড়োর পুষ্টিগুণ প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে, আর প্রোটিন প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ায়। তাই প্লেটলেট বা অণুচক্রিকা বাড়াতে স্যালাডে রাখুন কুমড়োর বীজ।