কেবল ওজন হ্রাসই নয়, সুস্থ থাকাই বড় সাফল্য। ছবি: শাটারস্টক।
ওজন কমানোই কিন্তু কেবল লক্ষ্য নয়, বরং সুস্থ থাকাটাই বেশি জরুরি। বাড়তি ওজনের বোঝা যেমন নামাতে হবে ঘাড় থেকে, তেমনই নজর দিতে হবে হজম প্রক্রিয়া, খাদ্যাভ্যাসের দিকেও। সাধারণত, সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় খাবারগুলো পাতে রাখলে এবং খাবারের সময়টা বৈজ্ঞানিক নিয়মে বদলে নিতে পারলে সমস্যা মিটবে অনেকটাই।
তাই পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসক খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন এমন কিছু খাবার রাখার পরামর্শ দেন, যা কেবল ওজনই কমাবে না, পুষ্টিও দেবে যথেষ্ট। তাই ওজনও কমবে আবার শরীরও সুস্থ রাখবে এই উদ্দেশে নানা রকমের স্যালাড রাখুন নিজের পাতে।
চিকেন স্যালাড হোক বা গ্রিন স্যালাড, প্রতি দিন খাবার পাতে এদের রাখলে শরীরের প্রভূত উপকার। জানেন কি, কোন কোন কারণে প্রতি দিন বিভিন্ন শাক-সব্জি বা ফল বা চিকেনের স্যালাড রাখা উচিত খাদ্যতালিকায়? কী-ই বা হওয়া উচিত স্যালাড খাওয়ার নিয়ম? জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামী।
আরও পড়ুন: সন্তান অমনোযোগী বা পড়া মনে রাখতে পারছে না? কী কৌশলে মেটাবেন সমস্যা?
শরীর-সাস্থ্য নিয়ে এ সব তথ্য আগে জানতেন?
স্যালাডে রাখুন মাছ-ডিম বা মাংসের মতো কোনও না কোনও প্রোটিন।
খাদ্যতালিকায় যত বেশি ফাইবার রাখবেন, তত সুস্থ থাকবে শরীর। খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমা থেকে শুরু করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, পেট পরিস্কার— সবটার জন্যই কার্যত ভরসা করতে পারেন স্যালাডের উপর। শরীরের দরকারি ভিটামিন, খনিজ সবটাই পূরণ করতে পারে এক বাটি স্যালাড। চিকিৎসকদের মতে, প্রতি দিন ফল ও সব্জি খেলে বাল তাকে হার্ট, কমে রক্তচাপ। কিন্তু নিয়ম করে অনেক রকমের ফল ও সব্জি আমাদের খাওয়া হয়ে ওঠে না। সেটা সম্ভব হয়, স্যালাড খেলে। শরীরে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টেরও পরিমাণ বাড়ে ডায়েটে স্যালাড রাখতে পারলে। আলাদা করে স্যালাড খেতে চাইলে সন্ধের ডায়েটে রাখুন এই পদ। দুপুরে খাওয়ার এক ঘণ্টা পর একটা ফল খান। তারও দু’ঘণ্টা পর খান এক বাটি স্যালাড। স্যালাডের গুণাগুণ ও উপকারিতা বাড়াতে তাতে যোগ করুন টক দই। অনেকে খাওয়ার পাতে স্যালাড খেতে ভালবাসেন। যদি এমনটাই করতে চান, তবে খাওয়া শুরুর আগেই খান স্যালাড। সে ক্ষেত্রে স্যালাডে রাখুন মাছ-ডিম বা মাংসের মতো কোনও না কোনও প্রোটিন।
আরও পড়ুন: মাথা যন্ত্রণা হয় মাঝে মাঝেই? মিথ ভুলে এ সব মেনে চললে ওষুধ ছাড়াই আরাম পাবেন
বাজারে মেলা সব্জিকে জীবাণুমুক্ত করে ব্যবহার করুন।
বাইরে থেকে স্যালাড কিনে খাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় অনেকের মধ্যেই। যতই নামী রেস্তঁরা থেকে স্যালাড কিনে খান না কেন, তাতেও স্পষ্ট হয় না ফল বা সব্জিটি কত ক্ষণ আগে কাটা হয়েছে, কখন ধোওয়া হয়েছে এগুলি বোঝা যায় না। জৈব সব্জির স্যালাডও ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না, কারণ এতে সার থাকে না বলে জীবাণুর উপস্থিতি থাকতে পারে। তার চেয়ে বাজারে মেলা সব্জি বাড়িতে এনে কিছু ক্ষণ পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মেশানো জলে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন। এতে সার ও রাসায়নিক রঙের ক্ষতিকর প্রভাব এড়ানো যায়। এই সব্জি ও ফলের স্যালাড খান নিশ্চিন্তে।