oil

হেঁশেলে বন্ধু তেল

খাদ্যতালিকায় জুড়তে পারেন নতুন কিছু তেল। যা আপনার শরীরে জোগাবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ। হদিশ রইল

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৯ ১২:০০
Share:

কোন তেলে কেমন উপকার?

সরষের তেল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, অলিভ অয়েল তো অনেক দিন ধরেই খাদ্যতালিকায় রাজত্ব করছে। এ ছাড়াও এমন বহু তেল রয়েছে, যার গুণ অনেক। কিন্তু খাবারে বিশেষ ব্যবহার হয় না। এমন তেলও নিয়ে আসতে পারেন রান্নাঘরে।

Advertisement

গ্রেপসিড অয়েল: ভাল চুল ও ত্বকের জন্য এর বিকল্প নেই। তা ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, অ্যালঝাইমার্স রুখতে এ তেলের জুড়ি নেই। এই তেলে এমন কিছু অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি পদার্থ আছে, যা ক্যানসারের মতো রোগেরও মোকাবিলা করে।

রান্নায়: সতে করতে বা হালকা ভাজতে ব্যবহার করতে পারেন গ্রেপসিড অয়েল। আনাজ রোস্ট বা গ্রিল করতেও এই তেল ব্যবহার করা যায়।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পাম্পকিন সিড অয়েল: পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ হওয়ায় কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। মেটাবলিজ়ম বাড়িয়ে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। যে সব মহিলারা মেনোপজ়ের দোরগোড়ায়, তাদের জন্য এই তেল খুবই উপযোগী।

রান্নায়: উচ্চ তাপমাত্রায় এই তেল পুড়ে যায়। তেলের গুণও অনেক কমে যায়। তাই স্যালাড ড্রেসিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। রোজ ১ চা চামচ করে খেতেও পারেন।

অ্যাভোকাডো অয়েল: হার্টের জন্য ভাল। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের জন্যও উপকারী।

রান্নায়: এই তেলের স্মোক পয়েন্ট বেশি। ফলে ভাজাভুজি থেকে শুরু করে রোস্ট ও গ্রিল করতেও এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।

হেজ়েলনাট অয়েল: ভিটামিন ই, বি, ফোলেট ও খনিজে সমৃদ্ধ এই তেল সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। এই তেল ওমেগা থ্রি ও সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এই তেল ফ্রিজে রাখা প্রয়োজন।

রান্নায়: ফ্লেভার‌ড কেক, ব্রেড বানাতে এই তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া স্যালাড ও সুপের ড্রেসিংয়েও ব্যবহার করতে পারেন হেজ়েলনাট অয়েল।

হুইট জার্ম অয়েল: ভিটামিন ই, বি ও কে সমৃদ্ধ এই তেল। এতে লিনোলেনিক ও ফ্যাটি অ্যাসিডও থাকে প্রচুর পরিমাণে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখার সঙ্গে মোকাবিলা করে। কোলেস্টেরল লেভেল কমাতেও এই তেলের জুড়ি মেলা ভার।

রান্নায়: উচ্চ তাপমাত্রায় এই তেলের পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায়। তাই স্যালাড ড্রেসিংয়ে, পাস্তা সসেই এই তেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। সিদ্ধ আনাজের উপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন।

প্রয়োজন অনুসারে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে এই তেল খাদ্যতালিকায় জুড়ে নিতেই পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন