narcissism

কেবল নিজেকে ভালবাসেন আপনার সঙ্গী! কী ভাবে বুঝবেন?

নিজেকে ভালবাসার সত্তা মাঝে মাঝে সমাজের সামনে ধরা পড়ে যায়। কী ভাবে বুঝবেন আপনার পার্টনার এই রোগের শিকার কি না?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৩১
Share:

সঙ্গী কি শুখুই আত্মকেন্দ্রিক, ‘আমিসর্বস্ব’? ছবি: শাটারস্টক।

যে সময়ে আপনাদের দু’জনের, সে সময় আপনার প্রেমিক সেলফিমগ্ন। অথবা ফেসবুকে নিজের লাইক গুণছেন প্রেমিকা। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ঘরে ঘরে এই আত্মপ্রেম। তবে অসুখটি নতুন নয়। সাহিত্যে আত্মপ্রেমে মগ্ন মানুষের কথা উঠে এসেছে এক শতকেরও বেশি সময় ধরে। শেক্সপিয়ারের ‘কিং লিয়র’ হোক বা সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’। নার্সিসিজম ছিল এবং প্রবল পরাক্রমে আজও রয়েছে। মনোবিদরা এই রোগে আক্রান্ত হওয়াকে বলছেন ‘নার্সিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার’।

Advertisement

মনোবিদরা বলছেন, বেশির ভাগ নার্সিসিস্টই নিজের প্রকৃত অভিব্যাক্তিগুলিকে লুকিয়ে রেখে একটি অবাস্তব মুখোশ পরে সমাজের সামনে ভান করে। নিজেকে ভালবাসার এই সত্তা মাঝে মাঝে সমাজের সামনে ধরা পড়ে যায়। কী ভাবে বুঝবেন আপনার পার্টনার এই রোগের শিকার কি না?

চিকিৎসকদের মতে কাজটা খুবই কঠিন। ২০১৪ সালের তুরস্কের হাজেত্তেপে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, নার্সিসিজমের স্তরভেদ রয়েছে। খুব বেশি মাত্রায় নার্সিসিজমে ভোগা মানুষের কথা আলাদা। বেশির ভাগ নার্সিসিস্টই ‘ম্যানেজেরিয়াল নার্সিসিজম’ নামের একটি স্তরে অবস্থান করেন। এঁদের আত্মপ্রেম প্রকট নয়, প্রচ্ছন্ন। কিন্তু অনেক বেশি ভয়াল। এঁদের এখান থেকে বিরত করতে যাওয়া বিপজ্জনক। যিনি এই কাজটি করতে যাবেন, তিনিই এঁদের কাছে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়বেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ত্বকের সমস্যায় জেরবার? ঘরোয়া উপায়ে এতেই বাজিমাত!

নিজের ছবি বা আয়নায় নানা ভাবে নিজেদের দেখতে দেখতে মুগ্ধতার প্রকাশ নার্সিসিস্টদের অন্যতম স্বভাব।

নার্সিসিস্ট চেনার সাত উপায়

এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি অতিরিক্ত গুরুত্ত্ব দেন নিজেকে। পারিপার্শ্বিক মানুষ বা সম্পর্কে থাকা মানুষটির ইচ্ছে বা মতামতের গুরুত্ব তাঁর কাছে কম। সব কিছুতেই কথা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন যে কোনও মতে। সব সময়ে পার্টনারের ওপর অধিকার ফলানোর চেষ্টা করেন এরা। নিজেকে অধিকতর ভাল বা শ্রদ্ধার যোগ্য বলে মনে করেন। নিজের ব্যাপারে কথা বলতেই ভালবাসেন, পার্টনারের খামতিগুলো সকলের সামনে তুলে ধরে বেশির ভাগ সময়ে হাসাহাসি করেন। এঁরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিশ্বাস করেন, অপর মানুষটি সবসময় তাঁকে অগ্রাধিকার দেবেন এবং কোনও রকম প্রশ্ন ছাড়াই সব কথা মেনে নেবেন। এঁরা মোটেও নিজের সমালোচনা ভাল চোখে নেন না এবং খুব রেগে যান বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন: অবহেলায় শিশুর প্রাণ কেড়ে নিতে পারে এই অসুখ, আপনার সন্তান নিরাপদ তো?

এক জন নার্সিসিস্ট মনে করেন, তাঁর ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম প্রযোজ্য নয়। আপনার পার্টনার যদি সকলের সামনে সবসময়ই আপনাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করেন বা সকলের সামনে। এঁরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পারেন না। তাই ছোট কোন‌ও বিষয়েও খুব রেগে যান। এরা খুব অহংকারী এবং উদ্ধত স্বভাবের হন এবং অন্যের প্রতি সহানুভুতিশীল হন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন